উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গত রবিবার রাতে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে এ হামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয়রা। আহতদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পূর্ববিরোধের জের ধরে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু তালুকদারের ছেলে রানার নেতৃত্বে মান্না, নয়ন ও আলিফসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল ইসতিয়াক আহম্মেদ (২১) ও মুদি মনোহারি ব্যাবসায়ী আমজেদ হোসেনের (৪৮) ওপর হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত আমজেদ হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ও ইসতিয়াক আহম্মেদকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎস্যা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের দপ্তর সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে সন্ধ্যার পরে আকরামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় রক্ষা পেলেও পুনরায় রাতে রানা, মান্না ও নয়নসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ভেতরে লোহার দরজা ভেঙে ঢুকতে না পারায় দরজা-জানালা ভাঙচুর ও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। সোমবার সকালে জানতে পারি আমার ছেলেকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা করায় স্কুলশিক্ষক সেরাজ মিয়া, মোশারেফ হোসেন ও ব্যবসায়ী মোনতাজ হাওলাদারের বাসায় গিয়েও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হামলাকারীরা।

আহত মুদি মনোহারি ব্যবসয়িী আমজেদ চৌকিদার জানান, আমি কিডনি রোগী। আমার একটা কিডনি বিকল। আমি ফরিদ আহম্মেদের ছেলেকে রক্ষা করতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা চালায়। অভিযুক্ত রানা জানায়, ক্রিকেট খেলা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে মাত্র। কারো বাড়িয়ে গিয়ে কোনো হামলা করা হয়নি। বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"