প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ জানুয়ারি, ২০২১

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন ভূমিহীনরা

২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনে পর এসব ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন পরিবারের জন্য চলতি অর্থবছরে নির্মিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ‘স্বপ্ন নীড়’। তালিকাভুক্ত গৃহহীন পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে মুজিববর্ষের উপহারে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর তালিকাভুক্ত গৃহহীনদের মাঝে এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার দরিদ্র ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ‘স্বপ্ন নীড়’। শাহজাদপুরে ১৫০ ঘর তৈরির কাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তালিকাভুক্ত গৃহহীন পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে মুজিববর্ষের উপহারে। বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে দেড় শতাধিক পরিবার। নির্মাণাধীন ঘরগুলো সার্বিকভাবে তদারকি করছেন ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদ হোসেন ও পিআইও প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।

উপজেলার ৫ ইউনিয়নে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ঘর। এর মধ্যে রুপবাটি ইউনিয়নে ৪০, পোতাজিয়ায় ৪০, গাঁড়াদহে ৪০, হাবিল্লাহনগরে ২০, কৈজুরীতে ১০ ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। দুই কক্ষের বাড়িগুলোর সঙ্গে থাকছে একটি রান্নাঘর, শৌচাগার ও সামনে খোলা বারান্দা। প্রতিটি বাড়ির জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ২৩ জানুয়ারির মধ্যে ঘরগুলো গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।

গাঁড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নে ৪০ ঘর বরাদ্দ এসেছে। খুব শিগগির গৃহহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। পিআইও প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, মানসম্মত ঘর দরিদ্র ভূমিহীনদের মাঝে তুলে দেওয়াই এখন তাদের মূল লক্ষ্য। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদ হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হবে এমন প্রত্যাশা আমাদের।

ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে গৃহহীন পরিবারগুলোর মধ্যে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে।

পটুয়াখালী : জেলায় ২১৩১ ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রথম পর্যায়ে ৭২৯ ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর উদ্বোধন করবেন। জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী গত মঙ্গলবার পটুয়াখালী সদর ও দুমকি উপজেলায় নির্মিত ঘর সরজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ, সদর ইউএনও লতিফা জান্নাতী, দুমকির ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ্? সাদীদ, দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার প্রমুখ।

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৭০ ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩১, রাজারহাটে ২, ছিনাইয়ে ১৮, নাজিমখানে ৩ ও উমরমজিদ ইউনিয়নে ১৬ আধাপাকা বাড়ি প্রস্তুত। ঘড়িয়ালডাঙ্গার খিতাব খাঁ মৌজায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে কথা হয় সেকেন্দার আলী ও মোজাম্মেল হকের সঙ্গে।

তারা বলেন, ‘শেখের বেটি হামাক ঘর উপহার দিছে বাহে। হামরা খুব খুশি। শেখের বেটি আরো অনেক দিন বাঁচি থাকুক এই দোয়া করি।’ রাজারহাটের পিআইও সজিবুল করিম জানান, উপজেলায় ১ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়।

ফকিরহাট (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ৩০ ভূমিহীন পরিবার পেতে যাচ্ছে পাকাঘর। এর মধ্যে পিলজংগ ইউনিয়নের রোনখোলায় ২২ ও লখপুর ইউনিয়নের ভবনা গ্রামে ৮ পরিবার পাকাঘর পাবে। ঘরহীন শাহিদা বেগম, আবদুল হক, মিজানুর রহমান, হুমাইয়ুন শেখ, মোশারেফ হোসেন ও সলাহ উদ্দিন শেখ বলেন, রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে আমাদের আর অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হবে না। পিআইও সাইদা দিলরুবা সুলতানা বলেন, মুজিববর্ষে ৩০ পরিবার নতুন পাকাঘর পাচ্ছে। ইউএনও মো. তানভীর বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পাকা ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘরের মালিকদের দলিলও ঠিক করেছি।

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ৫৩ ঘর পচ্ছে ৬ ইউনিয়নের গরিব অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এগুলো ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি ঘরে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় ধরে মোট ব্যয় হয়েছে ৯০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। পূর্বধলা সদর ইউনিয়নে ১৭, জারিয়ায় ৯, ধলামূলগাঁওয়ে ৭, খলিশাউড়য়ে ৭, বিশকাকুনীতে ১২ ও নারান্দিয়ায় একটি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। ইউএনও উম্মে কুলসুম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মেলান্দহ (জামালপুর) : জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ২৬০ ভূমিহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সেমিপাকা ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারি খাস জমি।

উপকারভোগী হতদরিদ্র আমেনা বেগম বলেন, আমার কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। পোলাপান নিয়ে অতিকষ্টে অন্যের বাড়ি থাকছি। প্রধানমন্ত্রী আমারে ঘর দিছে। তার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তার ভালা করে। ইউএনও তামীম আল ইয়ামীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক উপকারভোগী বাছাই করে তাদের ঘরগুলো নির্মাণ করে দিতে পেরে গর্ববোধ করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close