পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পাইকগাছায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের দুর্বিষহ জীবন

মহামারি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে পাইকগাছার প্রাথমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষক। গত ৬ মাস উপজেলার প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষক বেকার হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সরকার করোনায় বিভিন্ন খাতে প্রনোদনার ব্যবস্থা করলেও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

সূত্রমতে, চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম মহামারী কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন তুলে নিলেও বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও যথারীতি বেতনভাতা পাচ্ছেন সরকারি, বেসরকারি (এমপিও) ভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা। এমনকি মহামারি করোনায় সরকার বিভিন্ন খাতে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা রেখেছেন। যার অংশ হিসেবে শিক্ষা খাতে নন এমপিও শিক্ষকরাও সরকারের এই সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য পাইকগাছার প্রাথমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের জন্য নেই সরকারের বিশেষ কোন ব্যবস্থা। গত ৬ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের একমাত্র উপার্জনের পথটিও বন্ধ।

বর্তমানে পৌর এলাকার মধ্যে ১০টিসহ উপজেলায় প্রায় ৩০টি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই শতাধিক শিক্ষক মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ইউনিভার্সাল এডাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সরকার জানান, গত ৬ মাসেরও বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১২ শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী সবাই মানবেতর জীবন পার করছে। না পারছি সাধারণ কোন কাজ করতে, না পারছি অন্যকোন পেশা বেছে নিতে। শিক্ষকদের একমাত্র রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। আমরা চাই শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা পর্যন্ত বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের জন্য সরকারের বিশেষ কোন প্রণোদনার ব্যবস্থা নেই। উপজেলা প্রশাসনেরও নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের পক্ষ থেকে সঠিক তালিকা প্রদান সাপেক্ষে যদি আবেদন করা হয় তবে স্থানীয়ভাবে যতটা সম্ভব তাদেরকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close