কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে দ্বিখন্ডিত করার অভিযোগ

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে অবস্থিত। সাগর সৈকতের টানে এখানে ছুটে আসে দেশী বিদেশী পর্যটক। কিন্তু সেই সৈকতকে এবার দ্বিখ-িত করার অভিযোগ উঠেছে। ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ সৈকতকে দ্বিখ-িত করা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপ কর্তৃপক্ষ সৈকতকে দ্বিখ-িত করার জন্য জিও ব্যাগ ফেলেছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, সমুদ্র সৈকতে এমন বাঁধ তৈরি করে বঙ্গোপসাগরের স্বাভাবিক স্রোতে জলজ-জীববৈচিত্রের আবাসভূমিতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের দাবি পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া হোক। পাশাপাশি যারা এসব কাজে জড়িত তাদেরকে পরিবেশের ক্ষতির দায়ে আইনের আওতায় আনা হোক। আর সাগরতীর পরিবেশ সংকটাপন্ন (ইসি) এলাকা হলেও এখানে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের শেষ নেই। তারা বলছেন পুঁজিবাদ আর পর্যটনের ধুঁয়া তুলে সাগর সৈকত গ্রাস করার পরিকল্পনা বন্ধ করা হোক।

পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার (ইয়েস) এর প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দ্বিখ-িত করে যেকোন ধরণের জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা শুভ কর নয়। তবে ইতোমধ্যে একটি মহল দরিয়ানগর সৈকতে জেটি নির্মাণে চেস্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, সৈকত দ্বিখ-িত করে জেটি নির্মাণ ইতোপূর্বেও আমরা আন্দোলন করে বন্ধ করেছি। এবারও এ ধরনের কোন কর্মকান্ড হলে আমরা কক্সবাজারবাসীকে নিয়ে তা প্রতিহত করার পাশাপাশি সবার অংশগ্রহণে সমুদ্র সৈকতকে রক্ষার আহবান জানান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার সৈকতে গণবিরোধী কোন কাজ করতে দেয়া হবে না। সৈকতে জেটি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলাও চলমান বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close