উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডুবে যাওয়া খেত বাঁচাতে পানি সেচছেন চাষিরা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বন্যার পানি থেকে রোপা আমন রক্ষায় সেচ মেশিন লাগিয়ে খেতের পানি সরিয়ে দিচ্ছেন চাষিরা। গত তিন দিন ধরে ছয়টি সেচ মেশিন চালিয়ে মাঠ থেকে বন্যার পানি বের করে দেওয়া হচ্ছে। বন্যার পানি নতুন করে যেন মাঠে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সরেজমিন দেখা গেছে, উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রাম এলাকায় জলি বিল ও দক্ষিণ চড়ায় প্রায় ৮০০ বিঘা জমিতে রোপা আমনের আবাদ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে দক্ষিণ চড়ায় প্রায় ৪৫০ বিঘা ও জলি বিলে প্রায় ৩৫০ বিঘা জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়েছে। বন্যার পানি মাঠ দুটি থেকে নেমে যাওয়ার পর গত তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে কৃষকরা ধানের আবাদ শুরু করেন। কিন্তু গত সপ্তাহে ফের বন্যার পানি বাড়তে থাকায় মাঠ দুটির পাশের সড়কের দুটি কালভার্টের মুখ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকতে থাকে। মাঠ দুটির বেশির ভাগ জমির রোপা আমন ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কৃষকরা কালভার্ট দুটির মুখ মাটির বাঁধ দিয়ে অস্থায়ীভাবে আটকে দিয়েছেন যেন বন্যার পানি ঢুকতে না পারে। এ ছাড়া জলি বিলে চারটি ও দক্ষিণ চড়ায় দুটি সেচ মেশিন লাগিয়ে মাঠ দুটি থেকে পানি বের করে দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, ফসল রক্ষায় মিলিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে তারা এ কাজটি করছেন। গত তিন দিন হলো সেচ মেশিনগুলো চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক জমির ধানখেত জেগে উঠেছে। মাঠ দুটিতে আবাদকারী কৃষকরা সেচ মেশিনগুলোর জ্বালানি তেলের খরচ মেটাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, কৃষকদের এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এ উদ্যোগের সফলতায় কৃষকরা লাভবান হবেন। এ উদ্যোগে জড়িত কৃষকদের সামনের কৃষি প্রণোদনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
"