তীব্র যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে পাবনার সুজানগর পৌর শহর। যত্রতত্র অনিবন্ধিত ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান, নসিমন, অটোবাইক ও করিমন পৌর শহরের প্রধান সড়ক দখল করে নেওয়ায় রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়ায় যানজট যেন বর্তমানে শহরের নিত্যদিনের চিত্র।

পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ গেট চত্বর থেকে বাজারের প্রধান সড়ক হয়ে হাসপাতাল গেট পর্যন্ত এই যানজটকে প্রকট করে তুলেছে অনিবন্ধিত শত শত ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান। আর তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ার কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় স্থবির হয়ে থাকে সুজানগর পৌর শহর। এ ধরনের চিত্র দেখে মনে হয় সুজানগর পৌর শহরের মানুষের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যাই বেশি। যানজটের অন্যতম আরেকটি কারণ হলো রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করে ব্যবসায়ীদের দোকান। এছাড়া সপ্তাহের রোববার ও বুধবার পৌর হাট হওয়ায় এই দুই দিন যানজট যেন আরো তীব্র আকার ধারণ করে। আর অসহনীয় এই যানজটের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনাও। বিশেষ করে শহরের ব্যবসায়ী, অফিসগামী ও সাধারণ পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এমনকি গুরুতর রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নি দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছে উপজেলাবাসী।

আবার যানজটে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে বাজারের প্রধান সড়ক দিয়ে নিয়ম না মেনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাক, বাঁশের গাড়িসহ বড় বড় যানবাহন ট্রলি চলাচল। সম্প্রতি সুজানগর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে যানজট নিরসন করতে সক্ষম হলেও কিছুদিন পরে আবারো আগের অবস্থা ফিরে পায় পৌর শহর।

সুজানগর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অনিবন্ধিত অবৈধ অটোভ্যান ও অটোবাইকের কারণে যানজট বাড়ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে শহরের যানজট কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব। এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রওশন আলী জানান, শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিগগিরই অনিবন্ধিত যানবাহন ধরতে অভিযান চালানো হবে এবং সেই সঙ্গে উচ্ছেদ করা হবে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনাও। এছাড়াও থানা অফিসার ইনচার্জ বদরুদ্দোজা, সুজানগর পৌর মেয়র আলহাজ আবদুল ওহাব ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শক্রমে যানজট নিরসনে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"