রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

রাজারহাটের ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্প জরাজীর্ণ

ফুটো টিনে পলিথিন দিয়ে বৃষ্টি থেকে রক্ষার চেষ্টা

নির্মাণের প্রায় দেড় যুগ অতিবাহিত হতে চললেও রাজারহাটের ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোন সংস্কার হয়নি। ফলে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো। প্রায় ঘরের টিন ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টি, কুয়াশা কিংবা রোদ থেকে রক্ষা পেতে অনেক পরিবার টিনের নিচে পলিথিন লাগিয়ে রেখেছে। ঘরের দরজাগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী এবং ল্যাট্রিনগুলো ভেঙে গেছে।

জানা গেছে, ২০০০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সরকারি খাস জমির ওপর সরকারি অর্থায়নে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দূর্গারাম মৌজায় ১০০ পরিবারের বসবাসের জন্য দুর্গারাম আবাসন প্রকল্প, ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমোর মৌজায় ২০০ পরিবারের বসবাসের জন্য জয়কুমোর আবাসন প্রকল্প, সদর ইউনিয়নের ৪০ পরিবারের জন্য দুধখাওয়া মৌজায় দুধখাওয়া গুচ্ছগ্রাম, ওই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি মৌজায় ৩০ পরিবারের জন্য গুচ্ছ গ্রাম, একই মৌজায় ২০ পরিবারের জন্য মীরেরবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চরবিদ্যানন্দ মৌজায় ২০টি পরিবারের জন্য চরবিদ্যানন্দ আশ্রয়ণ প্রকল্প, পশ্চিম চরবিদ্যানন্দ মৌজার ৪০টি পরিবারের জন্য পশ্চিম চর বিদ্যানন্দ আশ্রয়ণ প্রকল্প, একই ইউনিয়নের ডাংরারহাট মৌজায় ৩০টি পরিবারের জন্য আদর্শ গ্রাম এবং ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ঘড়িয়াল ডাঙ্গা মৌজার ২০টি পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প ও একই ইউনিয়নের সুলতানপাড়া গ্রামে ২০টি পরিবারের জন্য গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়। পরে ১০টি প্রকল্পে ৫২০টি ভূমিহীন পরিবারকে এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে এসব প্রকল্পে ৫২০টি পরিবারের দুই হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করে আসছেন।

সরেজমিন জয়কুমোর আবাসন প্রকল্পে দেখা গেছে, ২০০ ঘরের মধ্যে ৪০/৫০টি ঘরের ওপরে লোহার এঙ্গেলের ফ্রেম ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নেই। প্রায় ঘরের চালের টিন ফুটো। বৃষ্টি, কুয়াশা ও রোদ থেকে রক্ষা পেতে অনেক পরিবার টিনের নিচে পলিথিন লাগিয়ে রেখেছেন। ঘরের দরজাগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী, ল্যাট্রিনগুলো ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও কেউ কেউ পুরাতন কাপড় দিয়ে ঘিরে রেখে তা ব্যবহার করছেন। ২০টি টিউবয়েলের মধ্যে ১৪টিই অকেজো। অস্বাস্থ্যকর ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারীদের মধ্যে বিভিন্ন রোগব্যাধি লেগেই থাকে। এদিকে নির্মাণের এক যুগ অতিবাহিত হলেও এসব ঘর কখনো মেরামত করা হয়নি বলে জানান প্রকল্পে বসবাসরত বাসিন্দারা।

জয়কুমোর আবাসন প্রকল্পের সভাপতি জাবেদ আলী জানান, স্থাপনের পর থেকে এ পর্যন্ত কোন সংস্কার কাজ হয়নি। অনেকে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অন্যত্র চলে গেছেন।

ছিনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু জানান, ২০০ পরিবারের আবাসস্থল জয়কুমোর আবাসন এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান তিনি

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close