নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় আমনখেতে পোকার আক্রমণ, দিশাহারা কৃষক
আমন ধানে পোকার আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নওগাঁর কৃষকরা। স্থানীয় বাজার থেকে কীটনাশক কিনে প্রয়োগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না তারা।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। তার মধ্য হাইব্রিড জাতের ২৫০ হেক্টর, উন্নত ফলনশীল (উফশী) জাতের ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৭০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২৯ হাজার ৮০ হেক্টর।
বদলগাছী উপজেলার চাকলা গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেন ও দেলোয়ার বলেন, পোকার আক্রমণে তাদের দুই থেকে তিন একর জমির ধান প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের লোকজন এলাকায় না আসায় কারণে কোনো পরামর্শ পাচ্ছেন না তারা। স্থানীয় বাজারের কীটনাশকের দোকানদারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ স্প্রে করেও কোনো উপকারে আসছে না।
রানীনগর উপজেলার মালশন গ্রামের কৃষক সালমান হোসেন বলেন, ১০ বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের চাষ করেছি। মাজরা পোকার আক্রমণে ধান খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পোকার আক্রমণে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়েছি।
একই এলাকার কৃষক ফজলুল ও রশিদ জানান, ২০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন তারা। ধান লাগানোর কিছু দিন পর থেকে মাজরা পোকার আক্রমণ শুরু হয়। আক্রমণের পর থেকেই বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করছি। ওষুধ স্প্রে করলে এক সপ্তাহ পরিস্থিতি ভালো থাকার পর আবারো ধান গাছ মরে শুকিয়ে যায়।
মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের কৃষক রশিদুল আলম ও উত্তরগ্রামের মুরাদ হোসেনসহ এলাকার একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়লেও কৃষি বিভাগের লোকজনদের মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না।
মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকদের পার্চিং পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, আমন খেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষকদের কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কৃষি অফিসে পরিস্থিতি অবহিত করলে কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেবেন বলেও জানান তিনি।
"