গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

গোয়ালন্দ ফেরিঘাট ফের ভাঙনের মুখে

পদ্মায় তৃতীয় দফা পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র স্রোত দেখা দেওয়ায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ২০০ মিটার এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ২ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাট। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে ৩ নম্বর ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ মিটার এলাকার বিভিন্ন স্থান ভাঙছে। বিশেষ করে ২ নম্বর থেকে ৩ নম্বর ফেরিঘাটের প্রায় ২০০ মিটার এলাকার কয়েক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে বেশি। ২ নম্বর ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাথার অংশ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট। বর্ষা পরবর্তী সময়ে দুটি ঘাট সংস্কার করা হয়। এ বছর নতুন করে ২ নম্বর ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে সড়কের মাথায় ইটের বস্তা এবং বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন থামছে না। ঘাটের এক পাশে বিভিন্ন বলগেট বোঝাই পণ্য নামাতে দেখা যায়।

সিদ্দিক কাজীপাড়ার আক্কাছ আলী বলেন, গত বছর ১ নম্বর ফেরিঘাট মজিদ শেখেরপাড়ায় ভাঙনে ভিটেমাটি বিলীন হলে ৩ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে জাকের পার্টি অফিসের পাশে ঘর তুলি। এ বছর এখানেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন যদি বাড়তে থাকে তাহলে বিকল্প উপায় বের করতে হবে। কিন্তু কোথায় যাব তা ভেবে পাচ্ছি না। এ নিয়ে এখানকার প্রায় ১০০ পরিবার বাড়তি দুশ্চিতায় আছি।

মজিদ শেখেরপাড়ার নাজমা বলেন, গত বছর ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি বিলীন হলে ২ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাটের মাঝে রোডে পাশে কোনো রকম একটি ছাপড়া করে আছি। এবার ভাঙলে কোথায় যাব তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, লঞ্চঘাট থেকে ১ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মজিদ শেখেরপাড়ার প্রায় ৬০০ পরিবার এবং ২ থেকে ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজীপাড়ার প্রায় ৩০০ পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম মেরিন) আবদুস সাত্তার বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠেকানো না হলে গত বছরের মতো এবার ফেরিঘাট বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দীন পাঠান বলেন, বন্যার আগ পর্যন্ত লঞ্চঘাট থেকে ৬ নম্বর ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলেছি।

বন্যাপরবর্তী সময়ে লঞ্চঘাট থেকে ৩ নম্বর ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ মিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close