প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আকস্মিক ঝড়ে ২ উপজেলায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

নওগাঁর আত্রাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ে দুই গ্রাম ও বাজার লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছেন তিনজন। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দেড় মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ১১ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

আত্রাই (নওগাঁ) : নওগাঁর আত্রাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ইসলামগাঁথী ও জগদাশ গ্রাম এবং বাজার লন্ডভন্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘূর্ণিঝড়ে হানা দেয়। এতে শতাধিক বাড়িঘর, বিদ্যুতের খুঁটি, হাজার হাজার গাছপালা ভেঙে গেছে। এতে গাছের ডাল ও ঘরে চাপা পড়ে তিনজন আহত হন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে বিশ্রামে আছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম রাস্তাঘাট ও বাড়ির ওপরে পড়ে থাকা গাছপালা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালামাল সড়িয়ে ফেলে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় ইউএনও মো. ছানাউল ইসলাম ও ওসি মো. মোসলেম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ইসলামগাঁথী ও জগদাশ গ্রাম ও বাজারে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে প্রায় ৫০টি পরিবারের শতাধিক কাঁচাপাকা ঘর বিধ্বস্ত, হাজার হাজার গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৮ থেকে ৯টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়। এ সময় দেয়াল চাপা পড়ে তিনজন আহত হন। গাছপালা ভেঙে আত্রাই টু সিংড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

জগদাশ গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১০ মিনিট ঘূর্ণিঝড়টি স্থায়ী হয়। ইউএনও মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আকর্ষিক ঝড়ে সলঙ্গা ইউনিয়নের আঙ্গারু গ্রামে ১১টি পরিবারের বসতঘর একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে প্রায় ২০টি ঘর। এরমধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মো. সুলতান মিয়া, আমিরুল ইসলাম, লিটন ইসলাম, আফসার আলী, আলম মিয়া, শরিফুল ইসলাম, সামেদান, শাহাদত, আসাদুল, গণি মিয়া, আ. মজিদ।

সরেজমিন দেখা গেছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে মাত্র দেড় মিনিট ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এ ঝড়ে মুহূর্তেই সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়, বসতঘরগুলো ছাড়াও তাদের ঘরের আসবাব সামগ্রীর ক্ষতি হয়ে গেছে।

সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মিলন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে জমা দেওয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এক টন চাল খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close