সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

খালে ‘নেটপাটা’ দিয়ে মাছ চাষ

তালার খলিষখালী ইউনিয়নের গাছা চোরাবাল্লে খালে গত চার বছর ধরে অবৈধ নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষ চলছে। ফলে প্রতি বছরই বৃষ্টির মৌসুমে খালের দুই পাশে ১ হাজার বিঘা কৃষিজমি ও মৎস্য ঘের ডুবে থাকে পানিতে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক কৃষক ও মৎস্যচাষি তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কয়েক দফা অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি।

অভিযোগ উঠেছে, শুক্তিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য গনেশ চন্দ্র বর্মণ প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গাছা বাজার সংলগ্ন বিলের চোরাবাল্লে খালটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। খলিষখালি ইউনিয়নের বিশেষকাটি গ্রামে ঠাকুর দাষ মন্ডল, গুরুপদ মন্ডল, শিবপদ বিশ্বাস, কৃষ্ণপদ মন্ডল, গাছা গ্রামের কমল মন্ডল, কুমোদ মন্ডল, শিবপদ সরকার, পবিত্র রায়, কৃষ্ণনগর গ্রামে সুকুমার সরকার জানান, গাছা চোরাবাল্লে খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। খালের দুই পাশে গ্রামবাসীরা মাছ চাষসহ ধান চাষ করেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে খালটি দিয়ে পানি নিষ্কাসন করা সম্ভব হয় না। আবার শুষ্ক মৌসুমেও মৎস্য ঘেরের পানি ওই খাল দিয়ে বের করা সম্ভব হয় না। শুক্তিয়া গ্রামের গনেশ বর্মন প্রভাব খাটিয়ে খালটি দখলে রেখেছেন। গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, গত বছর জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জেলার নেটপাটা অপসারণ করার নির্দেশ দিলে অন্য স্থানে সেটি বাস্তবায়ন হলেও এই খালে ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় গত বছর তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন খালটিতে থাকা অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করতে আসলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় তিনি ফিরে যান। গ্রামবাসীরা নেটপাটা সরানোর উদ্যোগ নিলে গনেশ বর্মন ইতিপূর্বে ৩২ জন গ্রামবাসীর নামে মাছ চুরির মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন বলেও জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আক্তার হোসেনের সহযোগিতায় খালটি দখল করে রেখেছেন ইউপি সদস্য গনেশ বর্মন।

অভিযোগের বিষয়ে খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গনেশ বর্মন জানান, পাটকেলঘাটা ভূমি অফিস ও খলিষখালী ভূমি অফিস জানে খালটি তিনি দখল করে মাছ চাষ করেন। পানি নিষ্কাসনে কোনো সমস্যা হয় না। এ বিষয়ে ইউএনও ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলার সব খালের নেটপাটা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close