কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ০৬ আগস্ট, ২০২০

কমলগঞ্জের দলই চা বাগান বন্ধ

সমঝোতা বৈঠক ব্যর্থ শ্রমিকদের বিক্ষোভ

দীর্ঘ ৮ দিন ধরে বন্ধ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা বাগান। মালিকানাধীন চা বাগানটি খুলে দেয়ার জন্য গত মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দ্বিতীয় দফা ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সাড়ে চার ঘন্টা ধরে চললেও কোন সমঝোতা হয়নি। বৈঠকের খবরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিকাল হতে অবস্থান নেয় শতশত চা শ্রমিক নারী-পুরুষ। রাত ৮টায় সমঝোতা না হওয়ায় উত্তেজিত শতশত চা শ্রমিক পরিষদের প্রধান ফটকের রাস্তায় বাগান চালু করার দাবীতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রামভজন কৈরী, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, স্থানীয় এমপির ভাই ইমতিয়াজ আহমেদসহ বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অবস্থান নেওয়া চা শ্রমিকদের শান্ত থাকতে আহবান জানান।

এরআগে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবনের হল রুমে দ্বিতীয় দফা মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, শ্রম অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গলস্থ কার্যালয়ের শ্রম কর্মকর্তা মোশাহিদ বক্স চৌধুরী, উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক রাম ভজন কৈরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগম, কমলগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সম্পাদক অ্যাড. এ এস এম আজাদুর রহমান, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, দলই চা বাগান কোম্পানীর এজিএম খালেদ খান, বাংলাদেশী চা সংসদ (চা বাগান মালিকদের সংগঠন) প্রতিনিধি শামছুল ইসলাম, কমলগঞ্জ উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমদ, মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু, ধলই চা বাগানের অভিযুক্ত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামসহ সহকারি ব্যবস্থাপকবৃন্দ, চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির সভাপতি-সম্পাদক, ধলই চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ চা শ্রমিকরা। বৈঠকে মালিক পক্ষ থেকে বর্তমান ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে বহাল রাখার দাবী জানান। আবার চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ব্যবস্থাপকে সরানোর দাবী জানান। কিন্তু বৈঠকে কোন সমাধান না হওয়ায় আগামী শনিবার তৃতীয় দফা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় পরিষদ ভবনের সামনে উপস্থিত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছালে তারা বিক্ষোদ্ধ হয়ে উঠেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, মালিক পক্ষের অসহযোগীতার কারনে চা বাগান চালু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হচ্ছে। তারা ব্যবস্থাপককে বহাল রাখার দাবী জানানোর কারনেই কোন সমাধানে আসছে না।

ইউএনও আশেকুল হক বলেন, দলই চা বাগানের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আগামী বৈঠকে একটা সমাধান হবে আশা করি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close