এম এ ইউসুফ, রানীনগর (নওগাঁ)

  ১২ অক্টোবর, ২০১৯

রানীনগরে সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ২০ গ্রামবাসী

অর্থ-সংকটে তিন বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

নওগাঁর রানীনগরে কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর গ্রামে তিন বছরেও শেষ হয়নি ফুট ব্রিজের নির্মাণকাজ। এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে বরাদ্দ সাপেক্ষে সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ হিসেবে খালের দুই পাড়ে শুধু দুটি খাম্বা তৈরির পর রহস্যজনক কারণে প্রায় তিন বছর ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই এলাকার দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি গ্রামের বাসিন্দাদের রতনডারি খাল পাড় হতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বর্ষা কালে খালে পানি পরিপূর্ণ হলে সাঁকো ও ডিঙ্গি নৌকা একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সর্বরামপুর-ভবানিপুর চৌতাপাড়া নামক স্থানে রতনডারি খালের উপর দিয়ে চলাচলের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাঝের মধ্যেই সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকো দিয়ে কাশিমপুর ও গোনা ইউনিয়নের সর্বরামপুর, কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, মঙ্গলপাড়া, ভবানীপুর, পীরেরা, বয়না, বেতগাড়ী, দূর্গাপুর, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, বেতগাড়ীসহ প্রায় ২০টি গ্রামের জনসাধারণের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। একটি ব্রিজের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো অথবা নৌকা দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় কৃষক-শ্রমিক, স্কুল-কলেজ, মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সর্Ÿরামপুর-ভবানীপুর চৌতাপাড়ায় একটি ব্রিজ নির্মাণ। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর গ্রাম সংলগ্ন রতনডারি সাধখালি খালের উপর ফুট ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে একটি দরপত্র আহবান করা হয়। সদরের পার-নওগাঁ মহল্লার গোলাম কিবরিয়া নামের এক ঠিকাদার নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায়। সেই মোতাবেক শুষ্ক মৌসুমে ওই খালের দুই পাড়ে খাম্বা নির্মাণের পর রহস্যজনক কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও এই ফুট ব্রিজটি নির্মাণে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসির মাঝে প্রশ্ন উঠেছে কবে শেষ হবে এর নির্মাণ কাজ।

উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু জানান, জনগণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে সর্Ÿরামপুর-ভবানীপুর চৌতাপাড়ায় একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক কিছু কাজ হলেও বাঁকি কাজ দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আমি বার বার সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরণা দিয়েছি। কিন্তু অদ্যবদি বাকি কাজগুলো শুরু না হওয়ায় আংশিক অবকাঠামো অপচয়ের দিকে চলে যাচ্ছে। দ্রুত এই ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাইদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ফুট ব্রিজটি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করা একান্ত জরুরি। এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করতে এখনও প্রায় ২৫ লাখ টাকা লাগবে। উপজেলা পরিষদের তহবিলে এই পরিমাণ টাকা না থাকায় ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তাই অন্য কোন তহবিল থেকে প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ সম্পূর্ণ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close