খুলনা ব্যুরো
বিলুপ্তি ঠেকাতে বাড়াতে হবে দেশীয় প্রজাতির মাছের চাষ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের খনন করা নতুন পুকুর এবং মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে দেশীয় প্রজাতির শিং মাছ অবমুক্ত করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি বলেন, মাছ চাষে বাংলাদেশ এখন প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু দেশীয় প্রজাতির মতো সুস্বাদু মাছ অতীতের মতো এখন আর ততটা পাওয়া যায় না। অনেক প্রজাতি এরই মধ্যে বিপন্ন ও বিলুপ্তির তালিকায় রয়েছে। তবে আশার কথা, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশীয় প্রজাতির মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করায় দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষের সম্ভাবনা ফিরে এসেছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করার জন্য আমাদের দেশে এখনো বহু পুকুর, খাল, নালা, ডোবা, নদী তথা মুক্ত জলাশয় রয়েছে। এখন প্রয়োজন মাছ চাষীদের উদ্বুদ্ধ করে ব্যাপক হারে দেশীয় মাছের চাষ সম্প্রসারণ। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে আমিষের জোগান বাড়বে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে মাছ চাষিরা লাভবান হবেন।
তিনি আরো বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ সম্প্রসারণ ও গবেষণায় বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ দেশীয় প্রজাতির মাছ অবমুক্ত করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর ছাড়াও মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবমুক্ত করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য ফিশারিজ বিভাগকে ধন্যবাদ জানান এবং সরকারি প্রকল্প হিসেবে এ উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়া যায় কি না সে ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ/প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান।
সূচনা বক্তব্যে এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, আমরা ভিন্ন মাত্রায় এবং নতুন উদ্যোগে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ সম্প্রসারণ ও গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। এ ব্যাপারে উপাচার্যের বিশেষ আগ্রহ এবং দিকনির্দেশনায় ক্যাম্পাসে দেশীয় প্রজাতির মাছ ছাড়ার এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ফুলতলা)সহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
"