নুর নবী রবিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  ০৭ আগস্ট, ২০২২

১১ মাসেও চালু হয়নি চবি ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল

সম্পন্ন হয়েছে অবকাঠামোগত কাজ। খাট, টেবিলসহ আসবাবপত্রের হয়েছে ব্যবস্থা। নিয়োগ পেয়েছেন প্রভোস্টও। তবু উদ্বোধনের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। এদিকে অনেক শিক্ষার্থী থাকার জন্য সিট পাচ্ছেন না। হলে হলে ঘুরেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম।

২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হলটি উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ? এরপর ১১ মাস অতিবাহিত হলেও চালু হলটি করতে পারেনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট ড. প্রকাশ দাশ গুপ্ত প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এখানে দুটি বিষয় রয়েছে। একটি হচ্ছে ভর্তির বিষয়ে সিন্ডিকেট অনুমোদন দিতে হবে। আরেকটি হচ্ছে লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। কোন শিক্ষার্থীদের এ হলে রাখা হবে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু আদিবাসী পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী জন্য ৬০ শতাংশ ও অন্যদের জন্য ৪০ শতাংশ আসনের বিন্যাস করে প্রস্তাবনা দিয়েছি। জানা যায়, হলটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর আয়তন ৫ হাজার ৫৮১ বর্গমিটার। অধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন হলটিতে ৩১২ জন ছাত্রী থাকতে পারবেন। হলটিতে রয়েছে সুইমিংপুল, ইনডোর গেমস, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, বিউটি পার্লার, ক্যানটিন, লন্ড্রি, সৌরবিদ্যুৎসহ নানা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।’

এদিকে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন হলে ঘুরেও থাকার জন্য সিট পাচ্ছেন না। তেমনি একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী নাছিমা জুলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে থাকার কথা থাকলেও তৃতীয়বর্ষে উঠেও তিনি কোনো সিট পাননি সেখানে। দুবার হলটির অফিসে যোগাযোগ করেও অফিসে কর্তব্যরতদের তাচ্ছিল্য সইতে হয়েছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগে থেকে আমি হলে একটা সিট পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। আমি হলের কর্তব্যরত কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলাম, তাকে আমার সমস্যার কথা জানাই এবং জানতে চাই যে হলে থাকার জন্য আমার কী কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে।’ তিনি তাচ্ছিল্যের সঙ্গে আমার কথা নিয়েছিলেন এবং প্রচণ্ড বিরক্তির সঙ্গে বলেন, ‘যান, যান এখন সম্ভব না! আমি তাকে বোঝালাম আমার হলে একটা সিট খুব জরুরি। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, কিছু করার নেই। সম্ভবত এর এক মাস পর আমি আবার যাই হলে। তখনও তিনি বলেন, সম্ভব না। অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়ে দেন। আমি বলেছিলাম, আমি তৃতীয় বর্ষে পড়ছি, এখন সিট না পেলে কবে পাব! তখন তিনি বললেন, এসব তাদের দেখার বিষয় না।’ বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম রেজাউর রহমানের মুঠোফোন কল করে ও খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসব বিষয়ে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। আমরা শিগগিরই লোকবল নিয়োগ করব। এ নিয়ে কাজ চলছে। লোকবলের অভাবে সবকিছু ঠিকমতো চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close