নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে

পদ্মা সেতু শুধু রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কানেকটিভিটি বাড়াচ্ছে না, বিশ্ব যোগাযোগেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এ সেতুর কল্যাণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সময় ও দূরত্ব কমবে। ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের অংশ হবে পদ্মা সেতু। এশিয়ার সমৃদ্ধ দেশ সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভারত, পাকিস্তান ঘুরে ইউরোপে যাবে ট্রেন। এমন সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত আলাপে এ কথা জানান তিনি। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে নির্মাণের শুরু থেকে দায়িত্ব পালন করা শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু শুধু সেতু নয়। নদীশাসন, মূল সেতু, পুনর্বাসন ও অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ করতে হয়েছে। বিদ্যুৎলাইন ও গ্যাসলাইনও আছে। আমাদের মূল সেতুর কস্ট কিন্তু ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎলাইন আছে, সেখানেই প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। গ্যাসলাইন আছে, সেখানেও ৩০০ কোটি টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। শুধু সেতুতে ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা নেই। ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা চলে গেছে। এটা অনেকে বুঝতে পারে না।

‘এটা কিন্তু রেল সেতুসহ, মানে দুটি সেতু। মেঘনা সেতু একটা, ভৈরব সেতু একটা। পদ্মা কিন্তু দুটি সেতু। এটা ছয় লেনের সেতু। ট্রেন কিন্তু যাবে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে। এত হাইস্পিড ট্রেন যাবে। এটা ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের একটা অংশ। এই লোডটা সেতুর ওপর দিতে হয়েছে। এই সেতু ১০০ বছরে আর হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে আমরা এটা করেছি। সিঙ্গাপুর থেকে যখন ইউরোপে ট্রেন যাবে তখন পদ্মা সেতু হয়ে যাবে। অনেক মালামাল নিয়ে যাবে, সুতরাং হেভি লোডেড সেতু বানানো হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এটা করতে হয়েছে। সেতুর খরচ কিন্তু ভুলভাবে দেখানো হচ্ছে। তুলনা করলে বাংলাদেশের অন্যান্য সেতু থেকে খরচ কম। মেঘনা ও দাউদকান্দি সেতুতে কত খরচ করেছি। রেলওয়ে সেতুর খরচ কত? সব মিলিয়ে দেখলে খরচ বেশি হয়নি।’

এ সময় তিনি কীভাবে কোন দেশ হয়ে কোন রুট ধরে ট্রেন সিঙ্গাপুর থেকে ইউরোপে পৌঁছাবে তা বিশদ বিবরণ দেন। সেতু চালু হওয়ার পর কবে নাগাদ কাক্সিক্ষত এর রুট ধরে ট্রেন চলবে সেদিকে তাকিয়ে আছে কোটি মানুষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close