আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসে শিক্ষার্থী সমাবেশ
বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পদচারণে নানা অনুষ্ঠানে গতকাল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। ‘জাতি গঠন এবং বিজ্ঞান শিক্ষার উন্মেষে জাদুঘরের অবদান’ শীর্ষক নানা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় বিজ্ঞান জাদুঘরে। আয়োজন করা হয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, ড্রোন ও রোবট প্রদর্শনী এবং জ্ঞানচর্চা ও পরিবেশ রক্ষার শপথ। রাজধানীর দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী জাদুঘরের গাংচিল মিলনায়তনে সমবেত হয়ে শপথ উচ্চারণ করে, ‘আমরা বিজ্ঞান জাদুঘরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বিজ্ঞানচর্চাকে শানিত করব এবং উদ্ভাবনী সত্তার বিকাশ ঘটাব, জাদুঘর থেকে অর্জিত জ্ঞানকে আমরা দেশের সমৃদ্ধিতে এবং বিশ্ববাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করব।’
শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অলিম্পিয়াডে ৫ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে ৭ জনকে বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে নানা বর্ণের স্মারক উপহার দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের শিক্ষক ড. নিয়ামুল নাসের বলেন, ‘প্রকৃতিতে বিজ্ঞান ছড়িয়ে আছে এবং প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব নয়।’ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের উন্মুক্ত ছাদে সমবেত করিয়ে মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে তীব্র দাবদাহ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের লোভের পরিণতি। এ থেকে বাঁচতে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগরায়ণ করতে হবে, ব্যাপক সবুজায়ন করতে হবে।’ উন্মুক্ত ছাদে শিক্ষার্থীরা তীব্র দাবদাহে দাঁড়িয়ে হাতে বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে প্রদত্ত স্মারক উপহারের ছাতা হাতে আকাশ পানে তুলে ধরে শপথ উচ্চারণ করে, ‘শিক্ষার্থী হয়ে আমরা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন থাকব, দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হব, গাছ কাটব না, বাসাবাড়ির ছাদ এবং উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে গাছ লাগাব এবং ধরিত্রী রক্ষায় অবদান রাখব।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"