মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে নৌ-পুলিশ মতবিনিময় সভা
বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে নৌ-পুলিশ প্রধান মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় পরিচালক, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রাম, উপপরিচালক (সামুদ্রিক), মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী ১৪ জেলার মৎস্যজীবী, ট্রলারমালিক সমিতি, বরফকল মালিক সমিতি, মৎস্য আড়তদার সমিতি, ফিশিংবোট মালিক সমিতি ও সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত সব সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনলাইনে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় মৎস্য আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণে সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সামুদ্রিক মৎস্য ও জলজ সম্পদ রক্ষায় নৌ-পুলিশ ভোলা, বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টহগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ফেনী ও ঝালকাঠি- এই ১৪ জেলায় কাজ করছে। নৌ-পুলিশ প্রধান বঙ্গোপসাগরের ৬৫ দিনের আহরণ কার্যক্রম সফল করার জন্য সবার সমন্বিত সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি ট্রলার মালিকদের প্রতিটি মাছ ধরার ট্রলারে ট্র্যাকার লাগানো এবং ট্রলারচালকদের পরিচয় সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ জানান। নিষিদ্ধ সময়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ না ধরার জন্য জেলেদের সচেতন করার বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"