চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১১ মে, ২০২২

‘অশনি’ মোকাবিলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে নগরবাসীর জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন দামপাড়া কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করেছে। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে নগরবাসীর জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন দামপাড়ার অফিসে জরুরি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক, চসিকের আরবান ভলান্টিয়ার টিম ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জরুরি সেবায় নিয়োজিত। এ ছাড়া শুকনো খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানি মজুদ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নগরীর কোথাও কোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটলে তা দ্রুত মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে যোগাযোগ নম্বর ০৩১-৬৩০৭৩৯ অথবা ০৩১-৬৩৩৬৪৯।

এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের কর্মকর্তারা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কসংকেতের ওপর ভিত্তি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি প্রস্তুত রেখেছেন। বন্দরের মূল জেটি, টার্মিনাল ও বহির্নোঙরে কনটেইনার, কার্গো ও শিপ হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নবী আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এখনো চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে পড়েনি। বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে আজও ছোট জাহাজে খোলা পণ্য খালাস হয়েছে। বেশ কিছু লাইটার জাহাজ এখনো বহির্নোঙরে আছে। তবে বেশির ভাগ লাইটার জাহাজ ও মাছ ধরার ট্রলার কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় জাহাজডুবির আশঙ্কায় বন্দর চ্যানেল থেকে সব ধরনের নৌযান সরিয়ে দেওয়া হয়।

এই রিপোর্ট তৈরির সময় আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় অশনি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরের সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত সোমবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজারগামী ফ্লাইটটি (বিজি-৪৩৫) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন, ‘ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় কক্সবাজারে অবতরণ করতে না পেরে সেটি চট্টগ্রামে আসে। ফ্লাইটে ১৬২ জন যাত্রী ছিলেন। বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেটি কক্সবাজারে নিরাপদে অবতরণ করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close