খুলনা ব্যুরো
খুলনায় পণ্যবাজার অস্থির, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ
খুলনায় ভোজ্য তেল ও চালের বাজার অস্থির। চালের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত দুই টাকা। তিন মাস ধরে ভোজ্য সয়াবিনের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। দাম স্বাভাবিক অবস্থায় নেমে না আসায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
নগরীর বিভিন্ন খুচরাবাজারে বোতলজাত ভোজ্য সয়াবিন পুষ্টি ও বসুন্ধারা (৫ লিটার) ৭৩০ টাকা, ফ্রেশ (৫ লিটার) ৭৩০-৭৩৫, তীর, রূপচাঁদা ৭৩০-৭৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ভোজ্য সয়াবিন (লুজ) লিটারপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকা দরে। নগরীর বড় বাজারে আসা ক্রেতা আবজাল হোসেন বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম কমছে না।’ বড় বাজারে আসা ক্রেতা আবদুর রহিম হাওলাদার বলেন, ‘সয়াবিন তেল ও মসুর ডালের দাম কমছে না।’ নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে চাল প্রতি কেজি ২৮ বালাম ৫২-৫৪ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৬০-৬২ টাকা, বাসমতী ৬৫-৬৬ ও স্বর্ণা মোটা ৪২-৪৩ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
অথচ তিন মাস আগে ২৮ বালাম ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৫৮ ৬০, বাসমতী ৬০-৬২ ও স্বর্ণা মোটা ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, বেগুন ৫০, আলু ১৫-১৬, দেশি পেঁয়াজ ৩৫, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫, শীতকালীন শিম ৬০, গাজর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করছে।
নগরীর বড় বাজারের দিনাজপুর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ফারুক বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম একটু বাড়তি। মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুর রব বলেন, ধানের দাম কমছে না, তাই চালের দাম বেশি।
"