ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

  ১৪ জানুয়ারি, ২০২২

ওমিক্রন মোকাবিলায় ময়মনসিংহে প্রস্তুতি

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় ময়মনসিংহ বিভাগজুড়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি বড় পরিসরে সভা-সমাবেশ বন্ধে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। করোনার বাড়তি চাপ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল। ওমিক্রন ঠেকাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনও।

মমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজী বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় মমেক হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে বর্তমানে ১০০ শয্যা রয়েছে। সেটি পর্যায়ক্রমে ৪০০ শয্যায় উন্নীত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্লান্টটি ২০ হাজার লিটারে উন্নীত করা হচ্ছে।

অক্সিজেনের পয়েন্ট ৬০০ বাড়িয়ে ১ হাজার ৬০০ করা হয়েছে জানিয়ে ওয়ায়েজউদ্দিন ফরাজী বলেন, নতুন করে অক্সিজেনের লাইন মোটা করা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ওষুধ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ছয়জন করোনা পজিটিভসহ ৪৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ১৫ জন রোগী ভর্তি হন।

এদিকে, জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে চার স্তরের নির্দেশনা রয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সতর্ক করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী জেল-জরিমানার কথা জানান দেওয়া হচ্ছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগ পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতালের নেতারা মাঠে কাজ করছেন। মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. শাহ আলম বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জামালপুর সদর হাসপাতাল, শেরপুর সদর হাসপাতাল, নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল এবং মমেক হাসপাতালে ৪৬০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আরো বলেন, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি বেড প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চলছে। ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ কোভিড হাসপাতালে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। মানুষের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তা বাস্তবায়নে যাবে সিটি করপোরেশন। বিগত সময়ের তুলনায় অধিক গুরুত্ব দিয়ে ওমিক্রন মোকাবিলা করা হবে।

মেয়র আরো বলেন, বুস্টার ডোজের পাশাপাশি করোনা টিকা নিশ্চিতেও জোর দেওয়া হয়েছে। টিকা গ্রহণ পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close