খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
মূল ফটকের সামনেই হবে ফুটওভার ব্রিজ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জিরোপয়েন্ট-গল্লামারী সড়কে নির্মিত হবে খুলনার প্রথম ফুটওভার ব্রিজ। এই সড়কে চলমান ‘খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশ চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ হাজার শিক্ষার্থী, সহস্রাধিক শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারী এই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। তাই, ব্রিজটি নির্মিত হলে তাদের সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অনুরোধপত্রে সড়কটির উভয় পাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এছাড়াও ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহিদ হাদিস পার্কে এক অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবসহ একটি ডিজাইন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। কিন্তু অনুমোদিত চার লেন প্রকল্পটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবগুলো তখন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে ডিও পত্রের মাধ্যমে প্রকল্পটির সংশোধিত প্রস্তাব প্রণয়নের সময় এসব সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান। ওই পত্রে ওয়াকওয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের কথাও বলা হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ডিও পত্র পাঠানোর পর এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিনও ফুটওভার ব্রিজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য প্রস্তাবগুলোকে সমর্থন জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে ডিও পত্র পাঠান। অবশেষে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় ১৮ মার্চ খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিনের ডিও পত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে মতামত প্রদানে সওজকে নির্দেশ দেন।
ফুটওভার ব্রিজের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (খুলনা) মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ আরও বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হবে, সে লক্ষ্যে আমরা নকশার কাজ করছি। এখনই নির্দিষ্ট করে সময় বলতে পারছি না, তবে আশা করছি খুব দ্রুতই টেন্ডার করতে পারব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটওভার নির্মাণের পাশাপাশি মূল ফটকটি আরও দৃষ্টিনন্দন করে পুনর্নির্মাণ করা হবে। ফলে, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি এটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সৌন্দর্যমন্ডিতও করবে।’
"