অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

  ১৯ অক্টোবর, ২০২১

জিরোপয়েন্ট-গল্লামারী সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জিরোপয়েন্ট-গল্লামারী সড়কের কাজ গত বছরের এপ্রিল থেকে চলছিল। তবে বৃষ্টি ও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় ৩ মাস ধরে এ সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপ এবং প্রকল্পের কাজের জন্য খুঁড়ে রাখা বেহাল সড়কের কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ হাজার শিক্ষার্থী, সহস্রাধিক শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করছে। খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে জিরোপয়েন্ট-গল্লামারী সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর ময়লাপোতা-জিরোপয়েন্ট মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ অন্তত ৪ থেকে ৫ ধরনের প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার যানবাহন চলাচল করে। এরই মধ্যে অনেক যানবাহনই আগে সোনাডাঙ্গা বাইপাস ব্যবহার করে চলাচল করত। ওই বাইপাসে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এখন অনেক যানবাহনই জিরোপয়েন্ট-গল্লামারী সড়কে চলে আসে। এতে এই সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

করোনা মহামারির কারণে এত দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ৩১ অক্টোবর থেকে সশরীরে সব বর্ষের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গল্লামারী-জিরোপয়েন্ট সড়কে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যাবে। এদিকে, এই সড়কটি প্রকল্পের কাজের জন্য বর্তমানে খুঁড়ে রাখা অবস্থায় আছে। পাশাপাশি যানবাহনের চলাচল সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার মতো ছোটোখাটো দুর্ঘটনা এখন সড়কের নিয়মিত দৃশ্য। শিক্ষার্থীদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব এ সড়কের চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শেষ করে তাদের ভোগান্তির যেন অবসান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মিল্লাত বলেন, ‘বৃষ্টির দিনগুলোতে আমাদের বেশ ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়কে রাস্তা পারাপার হতে হয়। আমাদের আশা, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সড়কটিতে চলমান প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করবেন এবং যানবাহনের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণেও উদ্যোগী হবেন।’

এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, ‘সড়কটি সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উঁচু-নিচু ও গর্ত থাকার কারণে বিশেষ করে বয়স্কদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। সড়কটিতে চলমান প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত হলে সবার মঙ্গল।’

ওই সড়কের কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (খুলনা) মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘ওই প্রকল্পে চুক্তির মেয়াদ আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত আছে। এরই মধ্যে ওই সড়কের শতকরা ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বৃষ্টি আর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মাঝে কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। আশা করছি, বাকি কাজটুকুও এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close