নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অভিজাত এলাকায় গাড়ির এক্সট্রা চার্জ

বিদেশে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে, রাস্তায় বের হলে গাড়ি আর গাড়ি। পরিবারের প্রতিটি সদস্যরই আলাদা আলাদা গাড়ি রয়েছে। তাই আমরাও পরিকল্পনা করেছি (বিদেশের অনুকরণে) রাজধানীর অভিজাত এলাকা দিয়ে গাড়ি চলার সময় এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ আমাদের ফুটপাতগুলো দখল হয়ে আছে। তাই ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে মানুষ, এর ফলেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু মানুষ যদি ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পারত, তাহলে যানজট কিছুটা হলেও কমে যেত। শুটিংক্লাব থেকে গুলশান-১, গুলশান-১ থেকে গুলশান-২, বনানী থেকে গুলশান-২ এর রাস্তায় ঢুকলে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। পরিবারের সবার জন্য আলাদা আলাদা একটি করে গাড়ি আছে অনেকের। আমাদের গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এসব গাড়ির জন্য দিন দিন যানজটের মাত্রা বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশে আমরা দেখেছি, তাদেরও কিন্তু বিভিন্ন রাস্তায় ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হয়। তাই আমরাও প্ল্যান করেছি গুলশান, বারিধারাসহ অভিজাত এলাকগুলোতে গাড়ি ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে। আমরা এসব অভিজাত এলাকাতে মেশিন বসিয়ে প্রথমে গাড়ি গণনা করব। দেখব কতগুলো গাড়ি প্রবেশ করে, এরপর একটি সমীক্ষা করে নিয়ে বিষয়টি আমরা কার্যকর করব। তখন অভিজাত এলাকায় গাড়ি চলার সময় এক্সটা চার্জ ধরা হবে।

সড়কে এখনো অনেক রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল করছে, এরমধ্যে অনেকগুলোর ফিটনেসও নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যেসব এলাকাভিত্তিক সমস্যা আছে সেগুলো এলাকাভিত্তিক স্থানীয়রা দায়িত্ব নেন। আমাকে জানান কী কী সমস্যা আছে, কী করতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব। আমি যা বলি তা করার চেষ্টা করি।

ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, আমাদের ফুটপাত দখল হয়ে আছে, খালগুলোতেও একই অবস্থা আমাদের এসব দখল মুক্ত করতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের খেলার মাঠগুলো উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সবাই মিলে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একটি সুন্দর, সচল, আধুনিক, সুস্থ ঢাকা আমাদের গড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানসহ ডিএনসিসির স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন

এর আগে গতকাল সকালেরাজধানীর মালিবাগ এলাকায় এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগান বাস্তবায়ন এবং ফগিং ও লার্ভিসাইডিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনে যান ডিএনসিসি মেয়র। এই সময় তিনি বলেন, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই ডিএনসিসি এলাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আতিক বলেন, এডিস মশার বংশবিস্তার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১ হাজার ৭০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পত্র দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য সুপারভাইজার এবং মশক নিধন কর্মীদের জন্য একটি নির্দেশিকাও তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close