নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সবজি কাঁচামরিচ মুরগির দাম চড়া

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সবজি, মুরগি ও কাঁচামরিচের। প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। অন্যদিকে চাল, ডালসহ অন্যান্য পণ্যর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর রামপুরা বাসাবো কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৪০, পাতাকপি ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০, করলা ৬০, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০, শিম ১৬০ ও বরবটি ৮০ টাকা। চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পটোল ৪০, ঢ্যাঁড়স ৪০, লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা।

রামপুরার সবজি ব্যবসায়ী সহিদ বলেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজির শাপলাই কম। শাপলাই বাড়লে সবজির দাম কমবে। বাজারে সবজির দাম গতকালকে এক রকম থাকে, তার পরদিন আরেক রকম। সবজির দাম কখন কী থাকবে, কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেন না। এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কেজিতে দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। কাঁচাকলার হালি বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়।

এসব বাজারে আগের দামে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হয়েছে খুচরা আটার। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকায়।

গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন ১১৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এদিকে, মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়া বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাবদার কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। আগের মতো বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে ইলিশ। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে আবারও বেড়েছে সোনালি (কক) মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ টাকা।

মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, খামারে উৎপাদন কম থাকায় মুরগির দাম বাড়তি। মুরগির দাম কবে কমবে, তা নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close