খুলনা মহানগরীর লবণচরায় ইজিবাইক গ্যারেজ ম্যানেজার মো. শামীম হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন, আসামিকে গ্রেপ্তার ও আলামত উদ্ধারে বিশেষ ভূমিকার জন্য কেমমপির ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গতকাল সদর দপ্তরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা এ নগদ অর্থের পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন কেএমপির ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, লবণচরা থানার ওসি সমীর কুমার সরকার, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুর রহিম, আসামি গ্রেপ্তারে সহায়তাকারী অফিসার এসআই সুকান্ত দাশ ও এসি অফিস (খুলনা জোন) এএসআই রবিউল ইসলাম।

কেএমপি কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, খুব দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় সোপর্দ করায় তাদের অনুপ্রাণিত করতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। আমাদের গাইডলাইন ও নির্দেশনা এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোনো ক্রাইম দ্রুত উদঘাটন করা হচ্ছে পুলিশের কাজ। এই মামলায় ক্ষেত্রে সব অংশে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। যারা উদঘাটন করেছে তাদের ডেডিকেশন ছিল, তারা নিরলসভাবে কাজ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে।

লবণচরা থানার ওসি সমীর কুমার সরকার বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা ও সহায়তায় এবং আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুত মামলার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। প্রকৃত আসামিকে আইনের আওতায় আনতে পেরে খুব ভালো লাগছে। নিহতের পরিবারও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

পুরস্কার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এম ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (এঅ্যান্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ডেপুটি কমিশনার (এফঅ্যান্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর লবণচরা থানাধীন মোহাম্মাদনগর বাবলু সড়কে ইজিবাইকের গ্যারেজ থেকে ম্যানেজার শামীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শামীমের বাবা মামলার বাদী মুজিবর মোড়লের এজাহারের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় আসামি আরাফাত হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। সে আদালতে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

"