নিজস্ব প্রতিবেদক
রোগীর চাপে হিমশিম
‘দুঃখিত, বিছানা খালি নেই’
প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ছুটে আসছেন রোগীরা। রোগীর চাপে হাসপাতালের সব ধরনের বেড পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে ‘দুঃখিত, বিছানা খালি নেই’ লেখা নোটিস টানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থা রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড ৫০০ শয্যার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা রোগীরা চিকিৎসা নিতে ছুটে আসছেন। গতমাসের শেষদিক থেকে রোগীর চাপ অনেক বেড়েছে। ফলে ২৭ জুলাই থেকে প্রতিদিনই ‘বিছানা খালি নেই’ এমন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে হাসপাতালটি ঘুরে দেখা গেছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে জরুরি বিভাগে একের পর এক রোগী আসছেন। পরিস্থিতি বুঝে কাউকে প্রাথমিক ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের মধ্য থেকে কিছু ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। বিছানা না থাকায় ভর্তি প্রয়োজন এমন অনেক রোগী অপেক্ষায় থাকছেন বা অন্য হাসপাতালে বিছানার খোঁজে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন ৩৪ জন। এর মধ্যে ২২ জন নারী ও ১২ জন পুরুষ। এদের মধ্যে ১০ জনকে ভর্তি রেখে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসাপত্র দিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভর্তি ১০ জনের মধ্যে আটজন নারী। যাদের মধ্যে ছয়জনের করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। বাকি দুজন এসেছেন উপসর্গ নিয়ে। অন্যদিকে চিকিৎসা নিতে আসা ১২ জন পুরুষের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দুজনকে ভর্তি রেখে, বাকিদের বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
"