নিজস্ব প্রতিবেদক
মশা দূর করতে আছে নগরীর ২ কোটি হাত
নগরীর ১ কোটি মানুষের ২ কোটি হাতকে কাজে লাগিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করতে হবে। একইসঙ্গে করোনা এবং ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রকোপ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারা এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আতিক বলেন, একদিকে করোনা আরেকদিকে ডেঙ্গু। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমেই ডেঙ্গু ও করোনা থেকে মুক্তি পেতে হবে। এর জন্য সবাইকে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যেমে সবাইকে সচেতন করাটা জরুরি।
আতিক বলেন, সবাইকে সচেতন করার জন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যাচ্ছি। এছাড়া কাউন্সিলরদের আমি নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন সব অলিগলি, পাড়া-মহল্লাতে গিয়ে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করেন। সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন ছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে আমরা পারব না। আমরা আমাদের মতো করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বাসার ভেতরে বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিসের লার্ভা থাকে। লার্ভা থেকে পিউপি হয় আর সেটা থেকে মশা। ঘরের ভেতরে গিয়ে এগুলো দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই নিজ নিজ ঘর, আঙিনা নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি বার্তা নগরবাসীর কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছি, ‘প্রতি শনিবার ১০টা ১০ মিনিটে নিজের আঙিনা করবো পরিষ্কার’। এই কার্যক্রমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আরেকটি বার্তা হচ্ছে, ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’। আরেকটি বার্তা ‘ডেঙ্গুর জন্য তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন’।
নগরের সবাইকে বলব, সবার মতো করে নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করতে হবে। এই সচেতনতাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। প্রতিটি কাউন্সিলরকেও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, আমাদের অভিযানের সময় আমরা দেখেছি নির্মাণাধীন ভবনে ৬৫ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ২৫ শতাংশ পাই ওয়াসার মিটারে। আর বাকিগুলো পাই টব, টায়ার এবং ডাবের খোসার মতো অপ্রয়োজনীয় জিনিসে।
"