নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ মে, ২০২১

আরো ২৯২ কোটি টাকা পাবে ২ লাখ খামারি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, করোনাকালে রোগপ্রতিরোধের জন্য মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের প্রয়োজন বেশি। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের প্রয়োজন মেটাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর কাজ করছে। মহামারির প্রথম পর্যায়ে খামারিদের উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবেই গত বছর প্রায় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এছাড়া করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ খামারিকে নগদ ৫৫৪ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আরো ২ লাখ খামারিকে ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে। এটি ঋণ নয়, ছোট ছোট প্রান্তিক খামারিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কাযর্ক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘বিধি-নিষেধের মধ্যে অনেক দপ্তরের কাজ বন্ধ থাকলেও মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম চালু আছে। কৃত্রিম প্রজনন, টিকাদান, চিকিৎসা, পরামর্শ সেবা প্রদান এবং সরকারি খামারে রেণু-পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর বাচ্চা উৎপাদন ও বণ্টন অব্যাহত রাখা হয়েছে। অনলাইন-এসএমএস সার্ভিসের মাধ্যমে খামারিকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে আমদানি-রপ্তানির জন্য এনওসির আবেদন গ্রহণ ও অনুমোদন করে ওয়েবসাইটে প্রদান করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৫ এপ্রিল থেকে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছে মন্ত্রণালয়। এ কারণে দেশের কোথাও এসব সামগ্রী সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ বছরও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু আছে। যেখানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ডিম প্রতিটি ৬ টাকা এবং প্যাকেট দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা দরে এ পর্যন্ত ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এতে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮০ লাখ মানুষ জড়িত।

করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের সাময়িক সমস্যা। এরই মধ্যে সরকার যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে থেকে ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্ব ও সেরা কূটনীতির কারণে বাংলাদেশের একজন মানুষও করোনার ভ্যাকসিনহীন থাকবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close