ডব্লিউএইচওর অনুসরণে খাদ্যনীতিমালার দাবি
খাদ্যপণ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাত্রা অনুসরণ করা ও দ্রুত প্রবিধানমালা তৈরির দাবিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কাছে স্মারকলিপি দিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম সরকারের হাতে ৯ দফা দাবিসংকলিত স্মারকলিপি দেন ক্যাবের নেতারা। এ সময় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চার সদস্য ও সচিব উপস্থিত ছিলেন।
দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো খাদ্যপণ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশের মধ্যে রাখা, ট্রান্সফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার আমদানি নিষিদ্ধ করা, খাদ্যপণ্যের মোড়কে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ বাধ্যতামূলক করে লেবেলিং প্রবিধানমালা ২০১৭-এর সংশোধন করা, মোড়কে ট্রান্সফ্যাট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য যাতে পরিবেশন করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ট্রান্সফ্যাট পরিমাপের জন্য কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় শহরে ল্যাব স্থাপন এবং ট্রান্সফ্যাটের ঝুঁকি সম্পর্কে ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল কাইয়ুম সরকার বলেন, ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ইতিবাচকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ট্রান্সফ্যাটবিষয়ক টিভিসি প্রচার করা হয়েছে। ট্রান্সফ্যাট প্রবিধানমালার কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ মাত্রা ২ শতাংশ নির্ধারণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্যাবের পক্ষ থেকে গণসই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে ৪১ হাজার ভোক্তা সম্মতি জ্ঞাপন করে, যা বিএফএসএর কাছে উপস্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য, ট্রান্সফ্যাট হলো এক ধরনের শিল্পোৎপাদিত ফ্যাট, যা হাইড্রোজেনেশন পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। যেমন ডালডা, বনস্পতি, মার্জারিন ইত্যাদি। এ ছাড়া একই তেল বারবার ব্যবহার করলেও ট্রান্সফ্যাট উৎপন্ন হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"