নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ মার্চ, ২০২১

সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ

সহিংসতা কমেছে নারীর প্রতি

কোভিড মহামারিকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যায়। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে মহামারির শুরুতে লকডাউনের সময় বেড়ে যাওয়া সহিংসতা অনেকাংশেই কমে আসে। গতকাল রবিবার কোভিড-১৯-এর আক্রমণ মোকাবিলা, চ্যালেঞ্জসমূহ এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে করণীয় বিষয়ে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব), ইউএনডিপির এলআইইউপিসি প্রকল্প ও এফসিডিওর যৌথ আয়োজনে ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানটির কারিগরি সহায়তা দেয় নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ (ইউডিজেএফবি)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে নারী অধিকার ও শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা মহামারির শুরুতে দেশে নতুন সংকট দেখা দিয়েছিল। এ ভাইরাস নতুন থাকায় সব সেক্টরে স্থবিরতা নেমে আসে। এতে কর্মক্ষেত্রে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিবারেও নারী নির্যাতনের ঘটনা কিছুটা বেড়ে যায়। তাছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপের কারণে তা অনেকাংশেই কমে এসেছে।

ম্যাবের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউএনডিপির এলআইইউপিসি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান, ম্যাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কতোয়াল, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রামচন্দ্র দাস, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ম্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাক খালেদ হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউডিজেএফবির সহসভাপতি কাররুন্নাহার শোভা, সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল খান প্রমুখ।

করোনার কারণে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও জীবিকা অর্জনের সব ক্ষেত্রসহ সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়েছে। এ ভাইরাসের কারণে শহুরে দরিদ্রদের জীবন ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নগর অর্থনীতি যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে নারীদের মারাত্মক ও সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক পরিণতি হতে পারে যেহেতু মহিলারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, বৃদ্ধ, শিশু এবং তাদের পরিবারের সুস্বাস্থ্য এবং যতœ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। নভেম্বরের শেষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক কর্তৃক দেশের ৫৯ জেলার ১০ লাখ নারীর অংশগ্রহণে করা এক জরিপে দেখা যায়, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার নারী পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী প্রথমবারের মতো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে শিশু-কিশোরীই বেশি; যাদের বয়স ৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ গত মে মাসে একটি জরিপের ফল প্রকাশ করে। তারা জানায়, দেশের ২৭ জেলায় এপ্রিল মাসে ৪ হাজার ২৪৯ জন নারী এবং ৪৫৬টি শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close