সাত দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশক নিধন অভিযান গতকাল রবিবার শেষ হয়েছে। এ অভিযানে ৪৪ হাজার ৯৬৮টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এরমধ্যে ২১০টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩০ হাজার ১২৯টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া এবং অন্যান্য অপরাধে ৮৯টি মামলায় মোট ১০ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) অভিযানে ৫ হাজার ৫৭৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪ হাজার ২৪৫ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ১০ মামলায় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ৭০৭ স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৯টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫২৬ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৯ মামলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) ১৩ হাজার ৪৫০ স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭ হাজার ৪৮১ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়া এবং অন্যান্য অপরাধের কারণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এ অঞ্চলে ২৩ মামলায় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৪০২ স্থাপনা পরিদর্শন করে পাঁচটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭২৭ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এক মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১ হাজার ৪১ স্থাপনা পরিদর্শন করে সাতটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৬৬ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট দুই মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ৮ হাজার ৪৯৯ স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬ হাজার ৪২১ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ১২ মামলায় ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৫ হাজার ৯১৪ স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪ হাজার ২৮৯ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৫ হাজার ৬৯১ স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩০টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩ হাজার ৩৯২ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ২৩ মামলায় ৪০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ২ হাজার ৩৮৩ স্থাপনা পরিদর্শন করে ২১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২ হাজার ১২০ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৯ মামলায় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সাঁতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৩০২ স্থাপনা পরিদর্শন করে দুটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২৬২ স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

"