নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২১

ড্রোনে মনিটরিং হবে উদ্ধার করা খাল

জানালেন মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের খালগুলো দখলমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। যখন যে খাল দখলমুক্ত করেছি, সেই খালপাড়ে গাছ লাগিয়ে দিচ্ছি। উদ্ধারকরা খাল ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

খাল একবার উদ্ধার করার পর ফের দখল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই একে সব সময় নজরদারির মধ্যে রাখতে হয়। এ কারণে ড্রোনের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের খাল মনিটরিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র আতিক। উচ্ছেদ অভিযানকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকাকালে মেয়র আতিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘একবার পরিষ্কার করে দেওয়ার পর বারবার দেখা সম্ভব নয়। তাই একটা সেন্ট্রাল ডেটা কমান্ড রুম করছি, সেই কমান্ড রুমে সবকিছু চলে আসবে। আমরা চাই ডিজিটালের মাধ্যমে পুরো সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম মনিটরিং করতে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে মিরপুর-১১-এর অ্যাভিনিউ-৪ (পল্লবীতে) দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদে কার্র্যক্রম পরিচালনা করে ডিএনসিসি। সংস্থাটির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযানে ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেটা বারবার বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা। সেই জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েই আমরা শুরু করছি। জনগণকে বলব আমাদের সাপোর্ট দিন। খালের দুই পাড় দখল হতে পারে না। রাস্তা দখল হচ্ছে, এটি হতে পারে না। নিজের জন্য নয় চিন্তা করতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। একটি সুন্দর সচল ঢাকা শহর উপহার দেওয়ার জন্য। নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার সবকিছু করার প্রচেষ্টা চালাব ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ৪৯ বছর ধরে রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের হাতে ছিল। অনেকবার চেষ্টা করার পরও দখলমুক্ত করা যায়নি। যে সড়কটি আমরা দখলমুক্ত করলাম, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখান থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরার দিকে যাওয়ার জন্য একটি মাত্র সড়ক এই কালশী সড়ক। কালশীর সঙ্গে সঙ্গে এখানে আরেকটি প্যারালাল রোড হতে চলছে। এটি সর্বোচ্চ ৭৫ ফিট এবং সর্বনিম্ন ৬০ ফুট চওড়া হবে। উচ্ছেদ শেষ করার পর আমরা এখানে মার্কিং করে দেব। মিরপুর-১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে এটি দুই কিলোমিটার সড়ক হবে। আগামীকালও উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’

দখলদারদের হুশিয়ার করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে আছেন, তারা দয়া করে সরে যান। তাদের আমি কোনো নোটিস দেব না। আমি যাব এবং অবৈধ দখল ভেঙে দেব।’

উচ্ছেদ অভিযান সফল করায় মেয়র সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই এই এলাকার জনগণকে, তারা সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলররা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অভিযানে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকেই বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা দখল করে রাখেন। কিন্তু এখানে আমরা একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখেছি। এখানে তারা বরং সহায়তা করেছে।’

উচ্ছেদ অভিযানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close