প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২১

হকারমুক্ত চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের প্রশান্তি

করোনার দুর্যোগের কারণে সাত মাস বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনা মেনে জাতীয় চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হয় গত ১ নভেম্বর। তারপর প্রায় প্রতিদিনই চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ভিড় আরো বেড়ে যায়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চিড়িয়াখানায় দেখা গেছে, হকারমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন চিড়িয়াখানা ঘুরে দর্শনার্থীর সন্তুষ্টি। তারা বলছেন, চিড়িয়াখানা এখন আগের থেকে নিরাপদ।

চিড়িয়াখানার কিউরেটর আবদুল লতিফ বলেন, নভেম্বরের আগে চিড়িয়াখানায় যাবতীয় সংস্কার করেছি। চিড়িয়াখানা হকারমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছি। গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে সীমিত পরিসরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানা খোলা থাকলেও ডিসেম্বর মাস থেকে চিড়িয়াখানা খুলছে সকাল ১০টায়, বন্ধ হচ্ছে বিকাল ৫টায়। এ ছাড়া প্রতি রবিবার বন্ধ থাকছে চিড়িয়াখানা।

সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু ঢাকা নয় দূর-দূরান্ত থেকে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসছেন দর্শনার্থীরা। বানর, হরিণ, জিরাফ, ভাল্লুক, বাঘ, ইমু পাখির খাঁচার সামনে ভিড় বেশি দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীদের মাইকে বাইরে থেকে খাবার না আনা, পশুপাখিদের উত্ত্যক্ত না করা, এক জায়গায় ভিড় না করা ও চিড়িয়াখানা পরিচ্ছন্ন রাখার অনুরোধ করা হলেও তা মানছেন না অনেকেই।

চিড়িয়াখানার ভেতর হকারের দেখা না মিললেও বাইরে থেকে তাদের কাছ থেকে পানি, বাদাম, আচার, চিপস কিনে অনেকেই ভেতরে প্রবেশ করছেন। খাবারের খোসা, প্লাস্টিকের প্যাকেট ফেলছেন যত্রতত্র। বানর, উটপাখিসহ বিভিন্ন খাঁচায় দর্শনার্থীদের খাবার দিতে দেখা গেছে।

ধানমন্ডি থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী দ্বীপ। তিনি বলেন, আগে তো দর্শনার্থী থেকে হকার বেশি ছিল। এখন তো হকার নেই। আর চিড়িয়াখানা আগের চেয়েও পরিষ্কার। এখন নিরাপদ লাগছে।

যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল ফেলছেন এটা ঠিক না। চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবার প্রচুর ভিড় হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিম ভেতরে টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের আরো কয়েকটি টিম সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে।

সিটিজেন চার্টার থেকে জানা যায়, ১৮৬ দশমিক ৬৩ একরের চিড়িয়াখানায় প্রায় তিন হাজার প্রাণীর বাস। এখানে ১৮ প্রজাতির তৃণভোজি, ১১ প্রজাতির মাংসাশী, ২৫ প্রজাতির ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপ, ৫৮ প্রজাতির পাখি ও ২৬ প্রজাতির অ্যাকুয়ারিয়াম মাছ আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close