নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ আগস্ট, ২০২০

শেখ কামাল দেশবাসীর মনে চিরভাস্বর হয়ে আছেন : তাপস

শহীদ শেখ কামালের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামাল অনেক গুণে গুণান্বিত ছিলেন। তিনি যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি ছিলেন বড় মাপের সাংস্কৃতিক কর্মী। ক্রীড়াঙ্গণেও তার বিশাল অবদান ছিল। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধেও সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আমাদের মাঝে চিরভাস্বর হয়ে আছেন।

গতকাল বুধবার সকালে শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, শেখ কামাল আসলে এক অনন্য মানুষ ছিলেন। অনেক গুণে গুণান্বিত এই মানুষটির বিচরণ যেমন ছিল ক্রীড়াঙ্গনে, সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এবং রাজনৈতিক অঙ্গণে। বলা যায়, কোথায় ছিলেন না তিনি?

তাপস বলেন, জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও একেবারেই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। সবার সঙ্গে তিনি যেভাবে মিশতেন এবং সুসংগঠিত করতেন, আজ এত বছর পরেও কিন্তু তিনি আমাদের মাঝে চিরঞ্জীব-চিরভাস্বর হয়ে আছেন। তার সঙ্গে যারা এক মিনিটের জন্য একান্তে এসেছেন তারা এখনো তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ১৫ আগস্ট আমরা তাকে হারিয়েছি। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখতেন, তা আরো আগেই তিনি বাস্তবায়ন করতেন। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ তার জীবন থেকে অনেক শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেন। আমার মনে হয়, আমাদের তরুণ সমাজের কাছে তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে অনেক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ বাকি রয়েছে। তার জীবন থেকে অনেক কিছু গ্রহণ করে এই দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, নতুন প্রজন্মের সেদিকে মনোনিবেশ করে নিজেদের গড়ে তোলা উচিত।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের আজ ৭১তম জন্মবার্ষিকী। আজ এখানে এসেছি তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সঙ্গে সঙ্গে ১৫ আগস্ট যারা শাহাদতবরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এর আগে ডিএসসিসি মেয়র শহীদ শেখ কামালের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

ডিএসসিসির অবৈধ ক্যাবল সংযোগ

উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে। কার্যক্রম শুরুর প্রথমদিনে গতকাল ধানমন্ডির মিরপুর রোডের সিটি কলেজ থেকে ল্যাবএইড হসপিটাল ও জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকায় এবং নগর ভবনের চারপাশে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গতকাল বুধবার ধানমন্ডির ২ থেকে ৪ নম্বর রোড ও জিগাতলা এলাকা ও বঙ্গবাজার ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে নগর ভবন হয়ে গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের প্রথম দিনে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এবং সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিকাল পৌনে ৫টায় উভয় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ করেন। ধানমন্ডি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান চলমান এই অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, ডিএসসিসির মেয়রের নির্দেশনার আলোকে ও কেবল টেলিভিশন পরিচালনা আইন-২০০৬ মোতাবেক ডিএসসিসি এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ সময় মো. মুনিরুজ্জামান আরো জানান, আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টায় জিগাতলা থেকে আমরা পরবর্তী দিনের কার্যক্রম শুরু করব। করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়িয়া মার্কেট থেকে পরবর্তী দিনের কার্যক্রম শুরু করে পার্শ্ববর্তী বঙ্গবাজার, আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

উল্লেখ্য, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী- সেবাপ্রদানকারী কেবল সংযোগের কাজে কোনো সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়ের লিখিত অনুমোদন ব্যতীত কোনো স্থাপনা ব্যবহার বা সুবিধা গ্রহণ করিতে পারিবে না। আইনের উপধারা ২৮ (২) অনুসারে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বছর সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ১ (এক) লাখ টাকা কিন্তু অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং অপরাধ পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে তিনি অনধিক ৩ (তিন) সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ২ (দুই) লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close