নিজস্ব প্রতিনিধি
ঢাবির জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা উদযাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল সোমবার সকালে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পূজার সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এবার জগন্নাথ হলের মূল পূজামণ্ডপের বাইরে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আরও ৭২টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়।ঢাবির জগন্নাথ হলে ৭২ মণ্ডপে সরস্বতী পূজা
প্রতি বছরের মতো এবারও হলের খেলার মাঠের চারিদিকে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পূজার আয়োজন করেছে। ৭২টি মণ্ডপের বেশির ভাগই বিভিন্ন বিভাগের থিমের আদলে গড়া। অন্য বছরের মতো এবারও এ হলের পুকুরের মাঝে বসানোর জন্য দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা তৈরি করেছে চারুকলা অনুষদ।
ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল এ পূজার মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আজ বুধবার সকাল থেকেই ঢাবির জগন্নাথ হলে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও এদিন পূজা মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখেন।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, মোট ৭২টি মণ্ডপে এবার সরস্বতীর বন্দনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে হলের খেলার মাঠে প্রতিমা তৈরি করেছে ৬৯টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট। চারুকলা অনুষদের একটি মণ্ডপ জগন্নাথ হল পুকুরে, একটি কেন্দ্রীয় মন্দিরে, আরেকটি মণ্ডপ শিশুদের জন্য করা হয়েছে কর্মচারী কল্যাণ সমিতিতে। জগন্নাথ হল ছাড়াও ছাত্রীদের জন্য রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, সুফিয়া কামাল হল, কুয়েত মৈত্রী হলে বীণাপাণির আরাধনায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ভগবানের জ্ঞান ও বিদ্যার রূপ হলেন দেবী সরস্বতী। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যাদেবীর পূজা হয়। হাতে বীণা থাকে বলে সরস্বতীকে বীণাপাণিও বলা হয়।
পূজাকে কেন্দ্র করে হল প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় ফুল, চুড়িসহ বাহারি পণ্যের ভ্রাম্যমাণ দোকান বসেছে এবার। এছাড়াও পানিপুরি, ফুচকা, মোমো, ভেলপুরি, ঝালমুড়িসহ নানা মুখরোচক খাবার পাওয়া যাচ্ছে জগন্নাথ হলের খেলার মাঠে ও পূজা মণ্ডপের আশেপাশে। যা পেয়ে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
"