পটুয়াখালী প্রতিনিধি

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

সফল কোয়েল খামারি নাহিদ ইসলাম

‘কয়েক বছর আগে শখের বশে ১৬টি কোয়েল পাখি কিনে আনি। এরপর ছোট ছোট খাঁচায় এদের পালন শুরু করি। একসময় এদের প্রতি ভালোবাসা ও মায়া জন্মে যায়। সেখান থেকেই কোয়েল পাখি নিয়ে কাজ শুরু। নানা সংকটেও হাল ছাড়িনি। কোয়েল পাখির ডিম উৎপাদন ও পাখি পালনে মনোনিবেশ করি। এখন কোয়েল পাখিই আমার ধ্যান-জ্ঞান। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা এটিকে ভালোভাবে না নিলেও এখন সবাই প্রশংসা করছেন আমার।’

কথাগুলো বলেছেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ ইসলাম (৩২)।

তিনি শখের বসে ছোট খাঁচায় ১৬টি কোয়েল পাখি পালন শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে আজ বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পাখি পালন করে সাফল্যের মুখ দেখছেন নাহিদ। এখন তিনি সফল একজন কোয়েল খামারি।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের শিক্ষিত যুবক নাহিদ ইসলাম। তার পিতা মাইনুল ইসলাম স্বপন। মাদরাসায় ফাজিল শেষবর্ষের ছাত্র নাহিদের খামারে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে, যা থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে চার হাজারেরও বেশি ডিম।

বিপণন হচ্ছে কোয়েল পাখি ও ডিম। খাওয়ার উপযোগী কোয়েল পাখি প্রতিটি ৬০ টাকা এবং প্রতি হালি ডিম ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন নাহিদ। স্থানীয়দের মধ্যে অতীতে কোয়েল পালন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের এতটা আগ্রহ না থাকলেও নাহিদের সাফল্যে অনেকেই কোয়েল পালনে ঝুঁকছেন। এছাড়া স্থানীয়ভাবে নতুন করে স্থান পেয়েছে কোয়েল পাখির মাংস ও ডিমের বাজার।

তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ জানান, কয়েক বছর আগে শখের বসে ছোট খাঁচায় করে ১৬টি কোয়েল পাখির পালন শুরু করেছিলেন। সেখান থেকেই কোয়েল পাখি নিয়ে তার কাজ শুরু।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close