প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
পিলখানা হত্যাকাণ্ড
জড়িতদের শাস্তিসহ ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন

২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৩ দফা দাবিতে গতকাল রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে চাকরিচুত্য বিডিআর পরিবার ও বিডিআর কল্যাণ পরিষদ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
গাইবান্ধা : বিডিআর কল্যাণ পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অ্যাডভোকেট মোস্তফা মনিরুজ্জামান, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা নেতা মনজুর আলম মিঠু, বাকবিসিস জেলা কমিটির নেয়ামুল হাসান, সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক সি. ভিএম আব্দুর রাজ্জাক, হাবিলদার আফছার আলী, হাবিলদার ওসমান গণি, বিডিআর মো. জোবায়ের হোসেন, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আসাদুল ইসলাম, মাহফুজ আলম প্রমুখ।
বগুড়া : শহরে মিছিল শেষে সাতমাথায় শতাধিক চাকরিচুত্য বিডিআর ও তাদের পরিবারসহ কারাবন্দি বিডিআর পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন ডিএডি নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, সমন্বয়ক জিয়াউল হক জিয়া, সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল বারী এরশাদ, ছাত্র প্রতিনিধি আল জাবের, জাকিরুল, সাকিব খান, বিডিআর সদস্য আলতাফ হোসেন, জুলফিকার, আশিকুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, এনামুল হক, গোলাম মোস্তফা, কামাল পাশা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিডিআরের নায়েব বদরুল আলম, নায়েব জাহাঙ্গীর, সিপাহি আবদুল মান্নান, নায়েব জাহাঙ্গীর, মাসুদ পারভেজসহ বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার।
ঝিনাইদহ : শহরের পায়রা চত্বরে বিপিআর কল্যাণ পরিষদ ঝিনাইদহ শাখার পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য বিএম কামরুজ্জামান, হাবিলদার আলিফ হোসেন, মনিরুল ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, সদস্য সচিব সাইদুর রহমানসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
সেসময় বক্তারা, ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সদস্যদের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ পুনরায় চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের জিরো পয়েন্টে চাকরিচ্যুত বিডিআর, জেলবন্দি বিডিআর পরিবার ও বিডিআর কল্যাণ পরিষদের ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন, জয়পুরহাট জজ আদালতের অ্যাডভোকেট আবদুল মোমিন ফকির, জয়পুরহাট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি হাসিবুল ইসলাম সানজিদ, বিডিআর নায়েব সুবেদার নুরুল ইসলাম, হাবিলদার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ হোসেন ও বন্দি বিডিআর রেজাউল করিমের ছেলে নোমান। মানববন্ধনে বক্তারা স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ নাহিদ, মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ প্রতিকসহ বিডিআর পরিবারের সদস্যরা।
নাটোর : রবিবার বিডিআর কল্যাণ পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের জেলা প্রতিনিধি রাজু আহম্মেদ, বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রতিনিধি আবদুল রাজ্জাক, ছাত্র প্রতিনিধি শিশির মাহামুদ, রবিন আহম্মেদসহ বিডিআর সদস্য ও তার পরিবাররা।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাবিলদার হাবিবুর রহমান, হাবিলদার মোতাহার সিং, সিপাহি নুরুজ্জামান, সিপাহি রাসেল প্রমুখ।
চাঁপাইবাবগঞ্জ : চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দাবিতে চাঁপাইবাবগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পিলখানায় তারা বিডিআর বিদ্রোহ করেননি। কোনো সেনাসদস্যকেও হত্যা করেননি। আর এর দায় চাপানো হয় বিডিআর সদস্যদের ওপর। এ অভিযোগে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। তারা জুলুমের শিকার হয়েছেন দাবি করে বলেন, চাকরি হারিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সবাই দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। এখনো অনেকে কারাগারে রয়েছেন। বিজিবিতে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তারা কারাগারে থাকা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। তা না হলে বৃহৎ কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
"