নৌবাহিনী জাহাজ বিশখালীর কমিশনিং অনুষ্ঠিত
নৌবাহিনীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌবহরে যুক্ত হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত আরও একটি যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা বিশখালী’। গতকাল শনিবার খুলনা নেভাল বার্থে আয়োজিত কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান জাহাজটির অধিনায়কের নিকট কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
বিশখালী নদীর নামে নামকরণকৃত ‘বানৌজা বিশখালী’ জাহাজটি ১৯৭৮ সালে নৌবাহিনীতে কমিশনিং এর পর থেকে সকল অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সফলতার সাথে অংশগ্রহণ করেছে। দীর্ঘ ৩৬ বছর দেশের জলসীমার সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকার পর জাহাজটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী হতে ডি-কমিশন করা হয়। পরবর্তীতে খুলনা শিপইয়ার্ডে ২০১৯ সালের ২ ডিসে¤¦র নতুন করে জাহাজটি নির্মাণের লক্ষ্যে কিল লেয়িং করা হয়। ৪১তম চধঃৎড়ষ ঈৎধভঃ ঝয়ঁধফৎড়হএর পঞ্চম (৫ম) জাহাজ‘বানৌজা বিশখালী’ নির্মাণ শেষে গত ২০২৩ সালের ২২ নভে¤¦র নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়। নৌবাহিনীতে নব সংযোজিত জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫১.৬ মিটার এবং প্রস্থ ৭.৫ মিটার। জাহাজটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। জাহাজটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এবং একটি ৪০ মি. মি. বফর গান, দুইটি ১২.৭ মি. মি. হেভি মেশিন গান, মাইন লেইং রেল, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র্যাডার, জিপিএস, ইকো-সাউন্ডার সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত। নৌবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকেএকটিআধুনিক, শক্তিশালী ও সক্ষম নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন- নৌবহরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ এক সুদক্ষ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত জাহাজ”বানৌজা বিশখালী’ নৌবাহিনীর সক্ষমতার আর একটি মাইল ফলক। এর আগে নৌবাহিনী প্রধানঅনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হলে কমান্ডার খুলনা নৌঅঞ্চল তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীরএকটি চৌকশ দল নৌবাহিনী প্রধানকে গার্ড অবঅনার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীসদর দপ্তরের পিএসওগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সামরিক ও অসামরিক বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণএবংবিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর।
"