খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল
নগরীর দোকানগুলোতে সবজির সরবরাহ থাকলেও দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির বাজার। একমাসের ব্যবধানে বেসামাল হয়ে উঠছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জিনিসের মূল্য। সত্তর টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমালেও এর বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি খুলনার বাজারে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর একাধিকার অভিযান পরিচালনা করলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না কোনো ভাবে। নাগালের বাইরে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
নগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শালগম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, শীতকালীন শিম ৮০ টাকা, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অথচ এক মাস আগে নগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পুরাতন আলু ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শালগম ৬৫ টাকা, মূলা ৪৫ টাকা, শীতকালীন শীম ৮০ টাকা, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, টমোটো ১৮০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে, কোনোভাবে কমছে না ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য। বাজারে বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা, সুপার তেল ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা জাহিরুল ইসলাম বলেন, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে নেই। বাজারে অভিযান হলেও দাম কমছে না। অসাধু ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়িরা বেশি লাভের আশায় সব ধরনের সবজির দাম ইচ্ছামত বাড়িয়ে দিয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন। নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে শেরে বাংলা রোডে কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এখন শীত মৌসুম। বাজারে সবজির অনেক সরবরাহ। সবধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ব্যবসায়িরা অধিক লাভের জন্য সবজির দাম না কমিয়ে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাজারে বেশি করে মোবাইল কোর্ট চালাতে হবে। তাহলে হয়তো দাম অনেকটা নেমে আসবে।
"