reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ অক্টোবর, ২০২৪

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লিফলেটে প্রচারিত বক্তব্যে আরইবির বক্তব্য

বাংলাদেশের পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য আমেরিকান মডেলের আলোকে রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশ বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ১৯৭৭ সালে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। বর্তমানে ২০১৩ এর আইন দ্বারা এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই আইনের সংস্থান অনুযায়ী আরইবি রেগুলেটরি বডি এবং ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আরইবির অধীনে গঠিত ও নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যানারে কতিপয় কর্মকর্তা/কর্মচারী পরিচয়ে বিতরণ করা লিফলেট-এর বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বক্তব্য : গ্রাহকের বৈদ্যুতিক পরিষেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গ্রাহক সংযোগের ভিত্তিতে প্রতিটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসারে অফিস, জনবল ও যানবাহনের প্রাপ্যতা তৈরি হয়। তদনুসারে আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনাপূর্বক সমিতিগুলো প্রয়োজনীয় অফিস, জনবল ও যানবাহনের সংস্থান করা হয়ে থাকে।

মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সমিতি কর্তৃক নিজস্বভাবে মালামাল সংগ্রহ পূর্বক সমিতির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ স্টোরে মজুদ রাখা হয়। ওঅ্যান্ডএম স্টোরে মালামালের ঘাটতি হলে গ্রাহক সেবা অব্যাহত রাখার স্বার্থে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসারে বাপবিবোর মাধ্যমে প্রকল্প স্টোর থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মালামাল দেওয়া হয়। বিগত বন্যায় চাহিদা মোতাবেক মালামাল সরবরাহ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮-এর বিধি অনুসরণপূর্বক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়কার্য সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। প্রায় সব মালামালের ঝঢ়বপরভরপধঃরড়হ আন্তর্জাতিক অঘঝও এবং ওঊঈ স্ট্যান্ডার্ড মোতাবেক প্রণীত এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে ইটঊঞ/উটঊঞ-এর অধ্যাপক পদমর্যাদার কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকেন। মালামাল গ্রহণকালে গুণগতমান নিশ্চিত হওয়ার পর তা গ্রহণ করা হয়।

বর্তমানে ৮০টি পবিসের পিক ডিমান্ড প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াটের বিপরীতে আরইবির ১৩০৫টি উপকেন্দ্র বিদ্যুতায়িত আছে, যার বর্তমান ক্যাপাসিটি ১৯ হাজার মেগাওয়াট। এ ছাড়া পবিস বিতরণ ব্যবস্থায় প্রায় ১৬ লাখ বিতরণ ট্রান্সফরমার স্থাপিত আছে, যার ক্যাপাসিটি প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। এতে দেখা যাচ্ছে যে, চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুন ক্ষমতার উপকেন্দ্র/বিতরণ ট্রান্সফরমার নির্মিত আছে। তাছাড়া আরইবির আন্তর্জাতিক নির্মাণ স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করেছে।

বর্তমানে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কারণে শূন্য হওয়া পদের বিপরীতে লোকবল নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়। এ পর্যন্ত সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্ত হয়েছে এবং অধিকাংশ দুর্ঘটনার মূল কারণ ভুল শাটডাউন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধি প্রতিপালন না করা।

বাপবিবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত বিধায় গেজেটের বর্ণনা অনুযায়ী যথাসময়ে কার্যকর করা হয়।

বাপবিবোর্ড আইন ২০১৩ এর সংস্থানমতে বাপবিবোর্ডের আওতাধীন পবিসগুলো প্রশাসনিক, আর্থিক ও কারিগরি বিভিন্ন অডিটিং/মনিটরিং/প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

সমিতির অধিকাংশ যৌক্তিক দাবি আরইবি কর্তৃক পূরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট মাত্র দুটি দাবি যাচাইয়ের লক্ষ্যে একাধিক কমিটির কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পবিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য এতগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও কতিপয় কর্মকর্তা/কর্মচারীর দাপ্তরিক শৃঙ্খলা বহির্ভূতভাবে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সভা/সমাবেশ, বিভিন্ন লিফলেট প্রদান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারে গ্রাহক সেবার মান বিঘ্নিত হচ্ছে, যা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close