বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব সভাপতিত্বে গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে একটি মতবিনিময় সভা হয়। উক্ত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নে বাপবিবো দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

বাপবিবো এবং পবিসের জন্য অভিন্ন সার্ভিস কোড ও একীভূত করার দাবিসহ অন্য সমস্যাগুলোর যৌক্তিক সমাধানকল্পে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের স্মারক নং-১৫৪; মোতাবেক একটি কমিটি গঠন করা হয়। এরই মধ্যে কমিটির তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে; সাংগঠনিক কাঠামো/সেটআপের নিয়মিত শূন্য পদের বিপরীতে এরই মধ্যে লাইন ক্রু (চুক্তিভিত্তিক) পদে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের চাকরিতে নিয়মিত করা হয়েছে; সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করাসহ বিশেষ প্রণোদনা ৫ শতাংশ নির্ধারিত তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়েছে; পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেলে তার দাফন/অন্তোষ্টিক্রিয়ার ব্যয়সহ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে; বাপবিবো এবং পবিসের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে প্রতি মাসে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হচ্ছে।

১৯৭৭ সালে অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবোর্ড) গঠিত হয় এবং এর আওতায় ১৯৭৮ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) গঠনপূর্বক বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বাপবিবোর্ড এবং পবিস-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা, একনিষ্ঠতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সুন্দর কর্মপরিবেশে দীর্ঘ ৪৬ বছরে সফলতার সঙ্গে সারা দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড গ্রাহকগণকে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ, যা দেশের মোট গ্রাহকের প্রায় ৮০ শতাংশ।

এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার করছে।

ক্ষেত্রে আগের মতো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, আন্তরিকতা, পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সুন্দর কর্মপরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"