চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে রুহুল আমিন গাজীর গায়েবানা জানাজা
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর গায়েবানা জানাজা গত বুধবার বিকেলে বাদ আছর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের পরিচালনায় জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি, প্রবীণ সাংবাদিক ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, সিএমইইজের সাবেক সভাপতি শামসুল হক হায়দরী।
জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী।
জানাজা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, রুহুল আমিন গাজী আমৃত্যু জনকল্যাণমুখী সাংবাদিকতা করেছেন। বিশ্বের মানচিত্রে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যারা মানুষকে ভালোবাসে বা মানুষের জন্য কাজ করে যায়। তাদের মৃত্যুর পর পৃথিবীর মাটি ‘নাড়ি ছেঁড়া’ ব্যথা অনুভব করে। রুহুল আমিন গাজী তেমনই একজন। তিনি মানুষের মনে দাগ কেটে গেছেন। যেখানেই তিনি পা রেখেছিলেন সেখানেই তৈরি করেছেন নিজের ভালোবাসার আলাদা জগৎ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ বলেন, রুহুল আমিন গাজী সারা জীবন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সরব ছিলেন। তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করা এক নির্ভীক সাংবাদিক। গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ইন্তেকাল করেন।
"