রংপুর ব্যুরো
৫৪ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
অভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত ফল ব্যবসায়ী
৫৪ দিন পর উত্তোলন করা হলো ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজারের সামনে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ফল ব্যাবসায়ী মেরাজুল ইসলামের মরদেহ। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর নিউ জুম্মাপাড়া কবরস্থান থেকে আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এসময় রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসানসহ সেনাবাহিনী, মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা ও পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান জানান, নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে মেরাজুল নিহতের নিহতের ঘটনায় তার মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। আদালতের আদেশে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ উত্তোলন করা হলো। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ নিয়মে আবারও তার লাশ দাফন করা হবে। গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি বাজারের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্বিচার গুলিতে আহত মেরাজুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান। কিন্তু সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করে তার পরিবার। এ মামলায় মহানগর পুলিশের সদস্য, কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের ৭ কাউন্সিলর, সাবেক মহিলা এমপি নাসিমা জামান ববি স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার পাল, এসি ইমরান হোসেন, এসি আরিফুজ্জামান, ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মামুন, কোতয়ালী থানার এসআই গনেশ চন্দ্র, মজনু মিয়া, সাবেক মহিলা এমপি নাছিমা জামান ববি, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শাহজাদা আরমান, শাহাদত হোসেন, হারুণ অর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাবু লক্ষিণ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিক রনি, জেলা যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ, মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা নেংরা মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা নবিউল্লাহ পান্নাসহ অজ্ঞাত শতাধিক।
"