ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার
ভৈরবে সাংবাদিকদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর মতবিনিময়
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কিত অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ভৈরব উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদুয়ান আহমেদ রাফির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব সেনা ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারহানা আফরিন, ক্যাপ্টেন মো. রায়হান রেজা, ভৈরব র্যাব ক্যাম্প স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. শহিদুল্লাহ, ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় মতবিনিময় সভায় ভৈরব সেনা ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারহানা আফরিন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে যতগুলোর অস্ত্র লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর লাইসেন্স গত ৪ সেপ্টেম্বর বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর আগে বেশ কয়েকদিন বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রগুলো থানায় জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ওই দিন বিকেলে ভৈরব থানা লুটপাট, ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অধিকাংশ অস্ত্র সেনাবাহিনী উদ্ধার করলেও থানা থেকে কিছু অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ভৈরববাসীর সহযোগিতায় অনেক অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এরপরও অনেক অস্ত্র দুষ্কৃতকারীদের কাছে রয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথবাহিনীর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা নির্দেশনা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভৈরবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথবাহিনীর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া তিনি আরো বলেন, ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পে একটি অভিযোগ বক্স রয়েছে। প্রকাশ্যে যদি কেউ কিছু বলতে না চাই তারা অভিযোগ বক্সে তথ্য দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এদিকে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার অভিযান, ছিনতাই প্রতিরোধ ও চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য কাজ করবে যৌথবাহিনী। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি বলেন, ভৈরবের মানুষের রক্ষায় ও ব্যবসায়িক ঐতিহ্য ও শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ভৈরববাসী ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবশেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারহানা আফরিন সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ভৈরবের লাইসেন্স করা ১৫টি অস্ত্রের মধ্যে থানায় ১৩টি ও ঢাকায় ২টি অস্ত্র জমা পেয়েছে। তবে থানা থেকে লুট হওয়া ২১টি অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনী কাজ করবে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান ফারুক, তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবী, মো. সুমন মোল¬া, সত্যজিৎ দাস দ্রুব্য, আলাল উদ্দিন, কাজী ইসফাক আহমেদ বাবু, মো. ফজলুর রহমান, এম এ হালিমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
"