নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ আগস্ট, ২০২৪

হামলার শিকার অধ্যাপক আনোয়ার নিরাপত্তা চায় পরিবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর সরকার পতনের দিন হামলা হয়েছে। বিমানবন্দরের কাছে এ হামলার ঘটনায় ডানপন্থিদের দিকে অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীসরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে তার পরিবার। গতকাল শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট সোমবার বিকেল ৪টার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ‘কিছু ডানপন্থি ধর্মান্ধের’ দ্বারা নির্মমভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

আয়েশা হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর বিগত সরকারের হামলার সমালোচনা করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি ৫ আগস্ট বিকেলে ছেলে ও ছেলের বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিতে সপরিবার শাহবাগে যাওয়ার জন্য উত্তরা থেকে রওনা হন। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছালে ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সি এক ব্যক্তি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের কাছে এসে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি সেই অধ্যাপক, যিনি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আপনাকে টেলিভিশনে দেখেছি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ব্যক্তি আনোয়ার হোসেনকে বিমানবন্দরের উল্টো দিকের একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আরো বেশ কয়েকজন উত্তেজিত লোক চারপাশে জড়ো হয়ে ‘নারায়ে তাকবির’ বলতে থাকেন। আনোয়ার হোসেন জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং তার গলা কেটে ফেলা হবে। উত্তেজিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তার ওপর হামলা করেন। পরিবারের লোকজন তখন আনোয়ার হোসেনকে হামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি আরো দুজন এসে হামলাকারীদের বাধা দেন। পরে সেখান থেকে আনোয়ার হোসেনকে বিমানবন্দরে থাকা সেনা ব্যারিকেডের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দরে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, দেশে এখন একটি সরকারের অনুপস্থিতিতে চরম মাত্রায় অনাচার ও নৈরাজ্য চলছে। এর মধ্যে উগ্রডানপন্থি জঙ্গি চরমপন্থিসহ স্বার্থান্বেষী মহল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।

এ বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীসরকার গঠন পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন বলে জানান আয়েশা হোসেন। তিনি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, তার পরিবারসহ যারা হামলার শিকার হয়েছেন এবং ঝুঁকিতে আছেন, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ চেয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close