রাজশাহী ব্যুরো
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব
মেয়র লিটন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশ আবারও রাজাকার-আলবদরদের হাতে যাবে, সেটি আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমাদের শরীরে বীরের রক্ত, আমরা তাদের কাছে পরাজিত হতে পারি না। আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামের দল। আমাদের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারেন। অতীতেও আমরা এর প্রমাণ দিয়েছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহী জেলা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি শেষে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
তার আগে নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে অবস্থান নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে লিটন বলেন, ২০১৩-১৪ সালে যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, বাসে আগুন দিয়েছিল, সেই বিএনপি-জামায়াত-শিবির সারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক তাদের পাল্লায় পড়ে বিপদগামী হয়েছে। যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌম মানে না, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে মানে না, তারা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি এরই মধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরো যে ৯ দফা দাবি তারা দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা আছে।’ এখনো সময় আছে, আপনারা (আন্দোলনকারীরা) ঘরে ফিরে যান।
রাসিক মেয়র বলেন, শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে আমরা অশান্ত হতে দেব না। কেউ যেন অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু তারা যদি কখনো আমাদের গায়ের ওপর এসে পড়ে, তাহলে তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমরা তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করব।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহসভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ প্রমুখ।
"