শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি

  ০৯ জুলাই, ২০২৪

মাগুরায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারই অংশ হিসেবে দুই দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অষ্টম দিনের মতো চলছে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি পালন করছে তারা।

গত ১ জুলাই সকাল থেকে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ সারা দেশের সবগুলো পল্লীবিদ্যু সমিতি একযোগে কর্মবিরতি পালন করছেন। অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির কারণে মাগুরা বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি, যা মোট গ্রাহকের ৮০ শতাংশ। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী একই সঙ্গে বিআরইবি কর্তৃক সরবরাহ করা বিতরণ লাইনের মানহীন মালামালের কারণে নিরবচ্ছিন্ন  বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সমিতির গ্রাহকরা যার রোষানলে পড়তে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের। তাদের অভিযোগ গ্রাহক পর্যায়ে বিআরইবিকে কেউ না চেনার কারণে বিআরইবির অদক্ষতা, দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার দায় নিতে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। পাশাপাশি একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে আন্দোলন  করে আসছে পল্লী বিদ্যুতের  কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে বিআরইবি ও পিবিএস একীভূত করণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণ দুদফা দাবি জানান তারা। এ ছাড়া সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান আন্দোলনকারীরা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করলেও জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে বলে জানান। কিন্তু এই অবস্থা চলমান থাকলে ভবিষ্যতে এই সেবা অব্যাহত রাখা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আড়পাড়া জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আলমগীর হোসেন মুসলেমী, মাগুরা সদর দপ্তরের (ডিজিএম) রঞ্জন কুমার ঘোষ, শ্রীপুর জোনাল অফিসের (ডিজিএম) রাহাতসহ এজিএম, সুপারভাইজার ও বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close