রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে রবিবার ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের (ফ্রিপ) আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত ও প্রকল্পের কি-নোট উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান।

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, হাওর এলাকায় ফসল উৎপাদনে আগাম ও আকস্মিক বন্যা, সেচের পানির অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির অর্থায়নে ফ্রিপ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন ধরনের সেচ অবকাঠামো নির্মাণ ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারবে।

নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও সঠিক দিক-নির্দেশনায দেশ এরই মধ্যে দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু তারপরও আমাদের নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় যেমন- কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কৃষিজমির হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমহ্রাসমান জমির উর্বরতা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে (ফ্রিপ) প্রকল্পটি গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত সর্বশেষ টেকসই জাত ও ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।

ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং বলেন, ফ্রিপ প্রকল্প হাওর অঞ্চলের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং টেকসই জীবিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি এ প্রকল্পের জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল বিভিন্ন ফসল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের কারিগরি সেশন পরিচালনা করেন মো. রেজাউল করিম, পরিচালক, পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আইসিটি উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা, গবেষণার বিজ্ঞানীরা, কৃষক প্রতিনিধি, কৃষক উদ্যোক্তা ও দাতা সংস্থার কর্মকর্তাসহ ২৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"