লিহাজ উদ্দীন মানিক, বোদা (পঞ্চগড়)
লেপ-তোশক বানাতে বেড়েছে ব্যস্ততা

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হিমেল হাওয়া জানান দিয়েছে শীতের আগমন। জেলার বোদা উপজেলায় হালকা কুয়াশার চাঁদর আর ঘাসের ওপর শিশির বিন্দুতে মিলছে শীতের আমেজ। আর কিছুদিন পর জেঁকে বসবে হাড়কাঁপানো শীত। এরই মধ্যে শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। আর এজন্যই ব্যস্ত সময় পার করছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের লেপ-তোশকের ব্যবসায়ীরা।
ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কর্মচাঞ্চল্য বিরাজ করছে তাদের দোকানগুলোতে। লেপ-তোশকের দোকানিরা নানা রকমের কাপড় এবং তুলার পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। কর্মীরা তুলাধুনে আর লেপ-তোশক সেলাইয়ের কাজে মগ্ন আছেন। সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে উপজেলার হাটবাজারগুলোতে।
বোদা বাজারের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী বছিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলা এবং কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্ডার কম। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টির মতো লেপ-তোশকের অর্ডার পেয়েছি এবং সরবরাহ করেছি।
অন্য এক ব্যবসায়ী আনিছুর বলেন, চলতি মৌসুমে সব কিছুর মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে লেপ-তোষকের ক্রেতা কম পাচ্ছি। একটা ৪ হাত ৫ হাত লেপ তৈরিতে সব মিলিয়ে খরচ আসে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। পুরো শীত মৌসুমে ১০০ থেকে ১৫০টি লেপ-তোশকের কাজ পেয়ে থাকি, কিন্তু এ বছর মনে হয় কম হবে। তবে তুলার প্রকারভেদ অনুযায়ী লেপ-তোশকের দাম কম-বেশি হয়।
বাজারে লেপ ক্রয় করতে আসা নুর জামাল বলেন, গত বছর ভালো তুলার ৫ হাত ৬ হাত মাপের একটি লেপ ১৪০০ টাকায় কিনেছিলাম। এ বছর সে লেপ ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লেক-তোষক ব্যবসায়ীরা জানান, শীত মৌসুমের আয় দিয়েই সারা বছরের সংসারের খরচ, কর্মচারীর বেতন, দোকান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ মেটাতে হয়। শুরুতেই বেচাকেনার এমন মন্দা ভাবের কারণে আগামী দিনের ভাবনায় শঙ্কিত হয়ে পড়ছি। এখন আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেলেও বছরের বাকি ৯ মাস অলস সময় পার করতে হয়।
"